এবার প্রশ্নের মুখে ন্যায্য মূল্যের দোকানের ওষুধের মান! মারাত্মক তথ্যে চিন্তায় খোদ স্বাস্থ্য ভবন
Fair Price Medicine Shop: র্যানডম নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের এই ওষুধগুলিতে গলদ ধরা পড়ে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
কলকাতা: ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে সরবরাহ হওয়া ওষুধের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠল স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা হয় অ্যাটোর্ভাস্টাটিন নামে অ্যান্টিবায়োটিক। মূলত কান, ফুসফুস, ত্বক, মূত্রনালীতে সংক্রমণের চিকিৎসায় এই ওষুধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এবার সেই অ্যান্টিবায়োটিকের গুণগত মান যাচাই করতে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকদের চিঠি দিল স্বাস্থ্য দফতর। এই অ্যান্টিবায়োটিকে ব্যবহৃত অ্যামোক্সিলিন ক্লভিউল্যানিক অ্যাসিড (AMOXYCILIN CLAUVIULANIC ACID)-এর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দেয় চিত্তরঞ্জন সেবা সদন, ডায়মন্ড হারবার, বাঁকুড়া, আসানসোলের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোর। তারপরই স্বাস্থ্য দফতরের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
ছাড় তো অবিশ্বাস্য। কিন্তু গুণমান বজায় থাকছে কি? ন্যায্য মূল্যের দোকানের ওষুধ নিয়ে এ প্রশ্ন নতুন নয়। এবার খোদ স্বাস্থ্য দফতরই ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি লিখল ড্রাগ কনট্রোল ও বিভিন্ন ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থাকে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, কালিম্পং জেলা হাসপাতাল, কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতাল, মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল —এই চার জায়গায় ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে আসা আটোর্ভাস্ট্যাটিন ট্যাবলেটের মান নিয়ে মূলত প্রশ্ন তুলেছে স্বাস্থ্য ভবন। গুণমান যাচাই করতে বলা হয়েছে।
ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থা থেকে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর হয়ে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে ওষুধ পৌঁছয়। বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে যাওয়া বিটামেথাজোন মলমের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। চিত্তরঞ্জন সেবাসদন, ডায়মন্ড হারবার, আসানসোল ও বাঁকুড়া জেলার ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরে আসা অ্যামোক্সিলিন ক্লভিউল্যানিক অ্যাসিড ট্যাবলেটের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
র্যানডম নমুনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের এই ওষুধগুলিতে গলদ ধরা পড়ে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। এসএসকেএমের ফার্মাকোলজির অধ্যাপক অভিজিৎ হাজরা বলেন, “ড্রাগ ইন্সপেক্টরদের কাজ সময়ে সময়ে এগুলি পরীক্ষা করা। বিশেষ করে কোথাও কোনও অভিযোগ এলে সেগুলির যথাযথ তদন্ত করে তার ব্যবস্থা করা।” প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “এখন যদি কোথাও কোনও গলদ পাওয়া যায় সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি বাতিল করে দিতে হবে। দরকার হলে ওদের ওয়ার্নিং দিতে হবে যাতে এরকম কিছু হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”
অ্যাটোর্ভাস্টাটিন ব্যবহার করা হয় কোলেস্টরলের চিকিৎসায়। বিটামেথাজোন মলম ত্বকের সমস্যায় কাজ করে। কান, ফুসফুস, ত্বক, মূত্রনালীতে সংক্রমণ হলে অ্যামোক্সিলিন ক্লভিউল্যানিক অ্যাসিড অ্যান্টি বায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ফলে এখন সতর্ক হলেও, আগে যাঁরা এগুলি ব্যবহার করেছেন তাঁদের নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফার্মাসিস্টরা। যদিও আশঙ্কা অমূলক বলেই দাবি করেছে ড্রাগ কনট্রোল। আরও পড়ুন: ‘আপনারা কি চান স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ুক?’, SSKM-এ নার্স বিক্ষোভ নিয়ে কড়া হচ্ছে হাইকোর্ট