Kolkata : ভুয়ো সংস্থা খুলে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ, কলকাতায় গ্রেফতার ১
Kolkata : শুল্ক দফতরের আইনজীবী নাদিম সুলেমানের দাবি,হওয়ালার মাধ্যমেই সব টাকা পাঠানো হয়েছে। তবে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে তদন্ত এখনও চলছে।
কলকাতা : ভুয়ো ইলেকট্রনিক সামগ্রী আমদানির নাম করে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ। চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির (Delhi) একটি সংস্থার কর্তাকে কলকাতা (Kolkata) থেকে গ্রেফতার করল শুল্ক দফতর। ধৃত বিনয় নারাংকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি সংস্থা মিলে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠানোর অভিযোগ তুলেছে শুল্ক দফতর। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, SD কার্ড আমদানির নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা মূলত হংকং সহ বেশ কিছু দেশে পাচার করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষা থেকে জানা যায় আমদানি করা ইলেকট্রনিক সামগ্রীগুলি আসলে ভুয়ো।
অভিযোগ, দিল্লির এই ছয়টি সংস্থা ভুয়ো নথি পেশ করে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছে। তদন্তে নেমে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানতে পারেন দিল্লিতে বন্ধ সংস্থাগুলির অফিস। তার মধ্যেই এক সংস্থার কর্ণধার কলকাতায় আসায় শুল্ক দফতর তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১২০ কোটি পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে শুল্ক দফতরের আইনজীবী নাদিম সুলেমান বলেন, “১২০ কোটি টাকার হিসাব এখনও পর্যন্ত আমাদের হাতে এসেছে। সব কালো টাকা। বিদেশে পাচার হয়েছে। ওদের দাবি, কিছু মাইক্রো চিপ বা এসডি কার্ড আমদানি করেছে। আমরা সেই এসডি কার্ডগুলির ল্যাব টেস্ট করি। দেখা যায় সবই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দেখায় এই নষ্ট এসডি কার্ডগুলি ওরা ৩৩০ কোটি টাকা দিয়ে আমদানি করেছে। এরই তদন্তে নেমে যে কটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ১২০ কোটি ওরা বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। বাকি অ্যাকাউন্টগুলিরও খোঁজ চলছে। এই গ্রুপে ৬টা সংস্থা রয়েছে। যাঁরা মোট এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওদের সব অফিস দিল্লিতে। সবই বন্ধ। তারমানেই বোঝা যাচ্ছে টাকা লেনদেনের জন্য অফিসগুলি খোলা হয়েছিল।” তাঁর দাবি, হওয়ালার মাধ্যমেই সব টাকা পাঠানো হয়েছে। তবে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে তদন্ত এখনও চলছে।