Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fake Vaccine: কী দিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘টিকা’? দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার ভ্যাকসিন ভায়াল নাইসেডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

কসবার অফিস ছিল দেবাঞ্জনের ‘ওয়াররুম’। সেখানেই তৈরি হতো সমস্ত পরিকল্পনা। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ভুয়ো ভ্যাকসিনের ভায়াল।

Fake Vaccine: কী দিয়ে তৈরি হয়েছিল 'টিকা'? দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার ভ্যাকসিন ভায়াল নাইসেডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত
কসবার সেই ভুয়ো ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2021 | 4:38 PM

সুপ্রিয় গুহ: দেবাঞ্জন দেবের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ‘টিকা’ নাইসেডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমে দেবাঞ্জন দেবের কসবার অফিস থেকে যে সমস্ত ভ্যাকসিনের ভায়াল বাজেয়াপ্ত করা হয় সেগুলি ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এবার সেই ভায়ালই নাইসেডেও পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। নাইসেডের ল্যাবে পরীক্ষা করে মূলত জানার চেষ্টা হবে, এই ভুয়ো ভ্যাকসিনগুলি তৈরিতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও এ প্রসঙ্গে নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত জানান, তাঁর কাছে এরকম কোনও খবর নেই। এমনকী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস বা নাইসেডে এ ধরনের বিশ্লেষণ সম্ভব নয় বলে বক্তব্য তাঁর।

কসবার অফিস ছিল দেবাঞ্জনের ‘ওয়াররুম’। সেখানেই তৈরি হতো সমস্ত পরিকল্পনা। তদন্তে নেমে কসবার অফিস থেকে পুলিশ কোভিশিল্ডের এক হাজার জাল লেবেল প্রিন্ট উদ্ধার করে। আরও বেশ কিছু জাল লেবেল প্রিন্ট করার জন্য গ্রাফিক্স তৈরি করে রাখা হয়েছিল তাঁর অফিসের কম্পিউটারে। এই লেবেল প্রিন্ট করার জন্য অফিসে ছিল কালার প্রিন্টারও। বাইরে থেকে কোভিশিল্ডের লেবেল প্রিন্ট করলে ধরা পড়ার ভয়ে অফিসেই কালার প্রিন্টার কিনেছিলেন দেবাঞ্জন বলে অভিযোগ।

সেই অফিস থেকেই জাল ভ্যাকসিনের প্রচুর ভায়াল উদ্ধার করা হয়। লেবেলের উপর লেবেল সাঁটিয়ে সেখানে ভুয়ো ভ্যাকসিন রাখা হত। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের শিশির গা থেকে কোভিশিল্ডের লেবেল তুলতে অ্যামিকাসিন লেখা লেবেলও মিলেছে। অভিযোগ, শুধু অ্যামিকাসিনই নয়, স্টেরয়েড ইনজেকশন ‘ট্রায়ামসিনোলোন’-এর স্টিকারও ছিল একাধিক শিশিতে।

আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই দেবাঞ্জনের সব কীর্তিকলাপ 

দেবাঞ্জন দেবেন টিকা শিবির থেকে বহু মানুষ টিকা নিয়েছেন। প্রথমে জল ও গুঁড়ো দুধ মেশানো ‘সলিউশন’-এর কথা উঠে আসলেও পরে একে একে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই ‘সলিউশন’গুলি আক্ষরিক অর্থেই কী দিয়ে তৈরি তা জানতে নাইসেডে পরীক্ষা করানো হবে। যদিও নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, “আমাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস একটা রিসার্চ অরগাইনেজশন। সাধারণত বায়ো মেডিক্যাল সায়েন্সের উপর গবেষণা হয়। আমাদের এখানে তো কোনও কেমিস্ট্রি বিভাগ নেই। এই ভ্যাকসিন ভায়ালের মধ্যে কী আছে তা বিশ্লেষণ করতে গেলে কেমিস্ট্রি বিভাগে নিয়ে কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করতে হবে। এই পিওর কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট নাইসেডে নেই। সুতরাং এখানে এ ধরনের বিশ্লেষণের প্রশ্নই ওঠে না।”