রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে এবার রাইসিনা হিলসের পথে তৃণমূল
Governor vs TMC: আগামী সপ্তাহেই রাইসিনা হিলস যেতে পারেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা।
কলকাতা: রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জগদীপ ধনখড়। অন্যদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এনে আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল। এরই মধ্যে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই রাইসিনা হিলস যাবে তৃণমূলে সংসদীয় দল। অবিলম্বে রাজ্যপালকে সরানোর দাবি জানাবেন তাঁরা।
গত কয়েকদিনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। জৈন হাওয়ালা মামলায় অভিযুক্ত জগদীপ ধনখড়ই বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কি না, সেই প্রশ্নই তুলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সম্প্রতি, সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি এই অভিযুক্তের তালিকায় একজন ধনখড়ের নাম রয়েছে। এই তালিকা আদালতেও জমা পড়েছে। এ বার এই অভিযুক্ত ধনখড়ই বর্তমানে রাজ্যের রাজ্যপাল কি না, “সেটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’
শুধু তাই নয়, দেবাঞ্জন-কাণ্ডেও রাজ্যপালের যোগ থাকার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ছবি দেখিয়ে তৃণমূল দাবি করেছে, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর রাজভবনে যাওয়া-আসা ছিল। দু’টি ছবি তিনি প্রকাশ্যে এনেছেন। যেখানে একটি ছবিতে দেবাঞ্জনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য নামক ব্যক্তিকে। দ্বিতীয় ছবিতে আবার সেই একই ব্যক্তিকে রাজপালের একটি পারিবারিক ছবিতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এখনও মুখ্যমন্ত্রী চুপ!’ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ তুলে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে তোপ স্মৃতির
গতকালই রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে বিধানসভায়। প্রথা মেনে বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে সেই ভাষণ পাঠ করেননি রাজ্যপাল। বিজেপির তুমুল বিক্ষোভের জেরে শুরুতেই ভাষণ বন্ধ করে দেন তিনি। মাত্র এক লাইন ভাষণ পড়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।