‘এখনও মুখ্যমন্ত্রী চুপ!’ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ তুলে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে তোপ স্মৃতির
Smriti Irani: মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর গতকাল এই মামলায় বিশেষ পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত।
কলকাতা: রাজ্যে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে বারবার তোপ দেগেছে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, সেই মামলায় বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। পর্যবেক্ষণের বেশ কয়েকটি লাইন তুলে টুইট করেছেন স্মৃতি। পর্যবেক্ষণের ওই অংশে আবেদনকারীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে লেখা রয়েছে,’অপ্রাপ্তবয়স্করাও রেহাই পাননি।’ এই অংশ উদ্ধৃত করে স্মৃতির প্রশ্ন, হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরও কেন চুপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
ওই অংশে আদালতের পর্যবেক্ষণে লেখা রয়েছে, ‘আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। আর রাজ্য বারবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার, এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্করাও রেহাই পাননি।’ অপর একটি লাইনে লেখা, ‘অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।’ ওই সব অংশই তুলে ধরেছেন স্মৃতি। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ উদ্বেগজনক।
‘There had been post poll violence & the state was found on a wrong foot’
‘Even minor girls were not spared’
‘Complaints of most of them were not recorded by the police’
Calcutta High Court’s observations on Bengal violence are alarming yet not a word from the Chief Minister! pic.twitter.com/9jYzBLBrFc
— Smriti Z Irani (@smritiirani) July 3, 2021
ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগগুলি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে মানবাধিকার কমিশন। গতকাল, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই সব অভিযোগের এফআইআর নিতে হবে পুলিশকে। শুধু তাই নয়, মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কলকাতায় সেনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিতের। ভোট পরবর্তী হিংসায় তাঁর মৃত্য হয়ে্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবারের। আর আদালতের এই সব নির্দেশ রাজ্য সরকারের কাছে একটা ধাক্কা বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় উদ্ধার ১৬টি তাজা বোমা
ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছিল মানবাধিকার কমিশনকে। আগেই সেই রিপোর্ট তৈরি করে হাইকোর্টে জমা দেয় কমিশন। এরপর কমিশনের তরফ থেকে আরও বেশি সময় চাওয়া হয়েছিল। শুক্রবারের শুনানিতে মানবাধিকার কমিশনকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আরও বেশি সময় ধরে এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করবে কমিশন।