Jadavpur Student Death: ছেলে অঙ্কে M.Sc, র্যাগিং করতেই পারে না, ফাঁসানো হচ্ছে: সৌরভের বাবা
Jadavpur Student Death: সৌরভের বাবা বলছেন, 'আমার ছেলে র্যাগিং করতেই পারে না। র্যাগিং করবেই বা কেন? আমার ছেলে কি র্যাগিং-এর জন্য এখানে আছে? এমএসসি করেছে অঙ্কে।' ছেলের গ্রেফতারির পর যেন মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে নিরূপবাবুর।
কলকাতা: ছেলে নিরপরাধ। নির্দোষ। ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। চন্দ্রকোণা থেকে কলকাতায় ছুটে আসার পর থেকে বার বার এই কথাই বলে যাচ্ছেন সৌরভ চৌধুরীর বাবা-মা। গতরাতেই সৌরভকে যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাতে ছেলের গ্রেফতারির খবর পাওয়ার থেকে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি তাঁরা। কাকভোরে রওনা দিয়েছেন কলকাতার উদ্দেশে। যাদবপুর থানার বাইরে শুকিয়ে আসা মুখগুলো এখন শুধু চাইছেন, ছেলে যাতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়। সৌরভের বাবা নিরূপ চৌধুরী বলছেন, ‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ছেলে নিরপরাধ।’ ছেলে যে এমন কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, তা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না নিরূপবাবু।
সৌরভের বাবা বলছেন, ‘আমার ছেলে র্যাগিং করতেই পারে না। র্যাগিং করবেই বা কেন? আমার ছেলে কি র্যাগিং-এর জন্য এখানে আছে? এমএসসি করেছে অঙ্কে।’ ছেলের গ্রেফতারির পর যেন মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে নিরূপবাবুর। বলছেন, ‘আমি খুবই গরিব মানুষ। তাই ওখানে সহপাঠীদের সঙ্গে কোনও রকমে যা হোক করে থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। চাকরির পরীক্ষা দিত। ডাব্লুবিসিএস ও সিজিএল পরীক্ষা দিয়ে একটা চাকরি পাওয়ার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল।’ দারিদ্রের যন্ত্রণা বার বার ফুটে উঠল তাঁর গলায়। কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম, আমার তো বেশি পয়সা নেই। ছেলে বলেছিল, বাবা চিন্তা করো না। হস্টেলে যা হোক করে আমি থেকে যাব।’
নিরূপবাবুর দাবি, স্বপ্নদীপের বাবাই তাঁর ছেলেকে ফাঁসাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য, স্বপ্নদীপ যখন প্রথম হস্টেলে এসেছিল, তখন সৌরভ মৃত পড়ুয়ার বাবাকে বলেছিলেন, চিন্তা না করার জন্য। হস্টেলে ভালভাবেই থাকবে স্বপ্নদীপ। সেদিন ওই কথা বলার জন্যই স্বপ্নদীপের বাবা বার বার সৌরভের দিকে আঙুল তুলছেন বলে দাবি নিরূপবাবুর।
সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরীও এদিন কিছুতেই কান্না চেপে রাখতে পারছেন না। ছেলের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই বললেন, ‘আমার ছেলে নির্দোষ। আমার ছেলে হস্টেলে এক-দু বছর নয়, চার-পাঁচ বছর ধরে আছে। হস্টেলের সবাই ওকে খুব ভালবাসে। আমি চাই ও নির্দোষ প্রমাণ হয়ে সসম্মানে ঘরে ফিরে আসুক।’