Recruitment Scam: ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই’, বরখাস্ত শিক্ষকদের আবেদন শুনলই না ডিভিশন বেঞ্চ
Recruitment Scam: বিচারপতি বলেন, "প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনে চলার ক্ষমতা আছে। সেক্ষেত্রে কমিশন মনে করলে চাকরি থাকবে না।"
কলকাতা: বরখাস্ত শিক্ষকদের আবেদন শুনল না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল রায় হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই চাকরিহারাদের অস্বস্তি বজায় থাকল ডিভিশন বেঞ্চেও। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোন অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ নয় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে। বিচারপতি এর দায়িত্ব দিয়েছে কমিশনকেই। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কমিশনই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কিনা। ন্যাচারাল জাস্টিস কোনও স্ট্রেট জ্যাকেট হতে পারে না। OMR Sheet বিকৃতি হয়নি বা এটা তাদের নয় বলে কোন মামলাকারী বলেননি। বিচারপতি বলেন, “প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনে চলার ক্ষমতা আছে। সেক্ষেত্রে কমিশন মনে করলে চাকরি থাকবে না।”
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষক ও ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। দুই ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে যান ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু এদিনের শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে। প্রথমত, OMR শিট বিকৃতিতে অভিযুক্ত একজনও মামলাকারী দাবি করেননি, যে ওএমআর শিট বিকৃতি হয়নি। দুই, যে ওএমআর শিট প্রকাশিত করা হয়েছে, সেটা যে তাঁদের নয়, তাও দাবি করা হয়নি বরখাস্ত শিক্ষক ও গ্রুপ ডি কর্মীদের তরফে। তিন, নিয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কমিশনেরও বেশ কিছু আইন রয়েছে। তার ভিত্তিতে তাঁরা এই শিক্ষক ও কর্মীদের ক্ষেত্রে বরখাস্ত সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এদিন বিচারপতি সেটিই স্পষ্ট করে দেন।