Justice Biswajit Basu: ‘দুর্নীতি দূর করতে গিয়ে আর একটা অপরাধকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো’, বিচারপতিকে প্রশ্ন বরখাস্ত শিক্ষকদের
Justice Biswajit Basu: বুধবার নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জন 'বরখাস্ত' শিক্ষক ও ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর আবেদন মামলা রয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে।
কলকাতা: চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের একাংশকে ‘বিনীদ্র রজনী’র কাটানোর পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। চাকরি বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের একাংশের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “চাকরি বরখাস্তের ক্ষেত্রে আদালতের কোন তাড়াহুড়ো নেই। তবে কিছু বিনীদ্র রাত্রী কাটাতেই হবে আপনাদের।” বুধবার নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জন ‘বরখাস্ত’ শিক্ষক ও ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর আবেদন মামলা ছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। অন্য একটি ৯৫২ জন বরখাস্ত হওয়া নবম-দশমের শিক্ষকের আবেদনের মামলা ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করতে দেখা দেখা গেল বিচারপতি বসুকে।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, “নিশ্চিত একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু তির আমাদের দিকে ছোড়া হচ্ছে। দুর্নীতির সুযোগ পেয়েছি ধরে নিলেও সামাজিক, মানসিক প্রভাব সরিয়ে ফেলা যায় না। দুর্নীতির নামে আমাদের যে তির ছোড়া হচ্ছে ,তাতে বিদ্ধ আমার পরিবারও।”
এই ৯৫২ জন বরখাস্ত শিক্ষকের আইনজীবী সওয়াল করেন, “এই পদ্ধতিতে সময় লাগবে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে। কিন্তু তার মধ্যে ওদের সন্তান স্কুলে যেতে পারবে না। দুর্নীতি দূর করতে আরেকটা অপরাধকে কোথাও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো?”
বিচারপতি বসু তখন বলেন, “দুর্নীতিতে আপনাদের নাম জড়িয়েছে। আমরা সেই সমাজে বসবাস করি না, যেখান থেকে এর মুক্তি মিলতে পারে। সহানুভূতি চাইবেন না।” বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, “আজ রায় ঘোষণার দিকে সবাই তাকিয়ে। দেখা যাক তারপর কী হয়।” উল্লেখ্য বিচারপতি এক্ষেত্রে নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জন ‘বরখাস্ত’ শিক্ষক এবং ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর ডিভিশন বেঞ্চে করা আবেদন মামলার শুনানির রায়ের কথা বলেন।