Gopal Dalapati : হৈমন্তীর নামে খুলেছিলেন মস্ত কোম্পানি, একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে গোপালের ব্যবসার ‘জাল’
Gopal Dalapati : এ ছাড়া যে কোম্পানিগুলির নাম শোনা যাচ্ছে সেগুলির বেশিরভাগ তৈরি হয়েছিল ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। এমনটাই জানাচ্ছেন গোপাল দলপতি।
কলকাতা : তাঁর নামে খোঁজ মিলেছে প্রায় ৯টি সংস্থার। তার মধ্যে সিংহভাগই ভিন রাজ্যে। যদিও খোলা হলেও কিছুদিন চলার পরেই প্রায় বেশিরভাগই সংস্থাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। শোনা যায় এখনও চলছে একটি সংস্থা। একসময়ের প্রেমিক তথা স্ত্রীর নামেও তৈরি করেছিলেন সংস্থা। কবে পথচলা শুরু করেছিল হৈমন্তী অ্যাগ্রো? এ প্রসঙ্গে টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati) বলেন, হৈমন্তী তৈরি করেছিলাম ২০১২-র শেষের দিকে বা ২০১৩-র শুরুর দিকে। যদিও সঠিক সময়টা ঠিক মনে করতে পারলেন না। গোপালের মতে এই সংস্থা ছিল মূলত কসমেটিকসের। কিন্তু, নামের পিছনে অ্যাগ্রো কেন? গোপালের উত্তর, “হৈমন্তী সেই সময় প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা করতে চেয়েছিল। সেখান থেকেই কসমেটিকসের প্রোডাক্ট তৈরির চিন্তা। তৈরি হয় হৈমন্তি অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড। নামে অ্যাগ্রো ছিল কারণ বিভিন্ন ভেষজ পদার্থ দিয়ে কসমেটিকস তৈরির কথা ছিল। আমাদের কোম্পানির সেক্রেটারিই এই নাম সাজেস্ট করেছিল।”
এ ছাড়া যে কোম্পানিগুলির নাম শোনা যাচ্ছে সেগুলির বেশিরভাগ তৈরি হয়েছিল ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। এমনটাই জানাচ্ছেন গোপাল দলপতি। বলেন, “এরমধ্যে টিউলিপ পেপার ইন্ড্রাস্ট্রিজ তৈরি হয়েছিল। পুরনো কাগজ থেকে নতুন পেপার তৈরির জন্য ওড়িশায় এই কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল। স্টিলের কাজ করার জন্য অ্যামালগামেট বলে একটা কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল।” যে সময় এই সংস্থাগুলি পথচলা শুরু করবে বলে প্রস্তুতি শুরু করছে তখনই আবার রাজ্যে সারাদা কাণ্ড হয়ে যায়। একাধিক চিটফান্ড সংস্থার উপর নজর পড়ে সরকারের। শুরু হয় ধড়পাকড়। আর তাতেই হাঁটতে শেখার আগেই কোমর ভেঙে যায় এই সংস্থাগুলির।
গোপাল বলেন, “২০১৩ সালের পর ওই সংস্থার মাদার কোম্পানিগুলি অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছিল। তাই এই সংস্থাগুলিও আর কাজ বিশেষ শুরু করতে পারেনি। সব সংস্থাই অন্য একাধিক লোক খোলে আমাকে তার মধ্যে রেখেছিল। আমি শুধু হৈমন্তীর নামে একটা সংস্থা খুলেছিলাম।” প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর আগে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে গোপালের। গ্রেফতারও হয়েছেন। গিয়েছেন জেলে।