Fire at Kolkata: পরপর বিস্ফোরণের শব্দ, লেলিহান শিখা ঘিরে ফেলেছে তিনতলা, ভিতরে তখনও আটকে কয়েকজন
Fire at Kolkata: স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে বাড়িটির তিনতলার ঘরের ভিতর থেকে পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তারপরই জানলা দিয়ে গলগল করে আগুনের শিখা বেরোতে দেখা যায়। দমকলকর্মীরা এসে মই দিয়ে উপরে উঠে জানলা ও বারান্দা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের বের করেন।
কলকাতা: ছুটির দিনে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire) শহরে। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার (kolkata) নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর কাছে একটা বাড়ির তিনতলায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। প্রথমে বাড়ির তিনতলায় আগুন লাগলেও পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে উপরের তলাতেও। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। তড়িঘড়ি মই দিয়ে ওই বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের নামিয়ে আনেন দমকলকর্মীরা। তারপর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দমকল বাহিনীর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর কাছে একটা বাড়ির তিনতলায় আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বেগতিক বুঝে স্থানীয় বাসিন্দারাই দমকলে খবর দেন। তারপর প্রথমে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গেলেও পরে দু-দফায় আরও ৪টি ইঞ্জিন যায়। ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। তারপর দমকল বাহিনীর প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই বলে দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, রান্নার সিলিন্ডার ফেটে গিয়েই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। পরে শর্ট সার্কিট ঘটে থাকতে পারে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির সকল বাসিন্দাকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে বাড়িটির তিনতলার ঘরের ভিতর থেকে পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তারপরই জানলা দিয়ে গলগল করে আগুনের শিখা বেরোতে দেখা যায়। তিনতলায় আগুন লাগার পর সেখানকার বাসিন্দারা সকলে নেমে আসেন। কিন্তু, আগুনের মধ্যে আটকে পড়েন চারতলার বাসিন্দা একটি পরিবার। যার মধ্যে ৫ বছর ও সাড়ে ৩ বছরের দুই শিশুও ছিল। দমকলকর্মীরা মই দিয়ে উপরে উঠে জানলা ও বারান্দা দিয়ে ওই পরিবারের সকল সদস্যকে বের করেন।
বাড়িটিতে আগুন লাগতেই আতঙ্কে আশপাশের বাড়ির লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসেন। যদিও দমকল বাহিনীর তৎপরতায় আগুন আশপাশের বাড়িতে ছড়ায়নি। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয় বলে দমকলকর্মীরা জানান। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।