‘কে বলল বৈঠক! সাতবার ফোন করেছি ধরেনি‘, ফিরহাদের মন্তব্যে জিতেন্দ্রকে নিয়ে বাড়ল জল্পনা
কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক সোমবার জানান, বৈঠক হচ্ছে না। কেননা জিতেন্দ্রকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
কলকাতা: আসানসোল পুরসভার প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) সঙ্গে আগামিকাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্বের বৈঠকের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক সোমবার জানান, বৈঠক হচ্ছে না। কেননা জিতেন্দ্রকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
রাজ্যের পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘কাল জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে কোনও বৈঠক নেই। আমি আসানসোলের প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সাতবার ফোন করেছি। ও ধরেনি। তাহলে বৈঠক হচ্ছে কে বলল?‘ এখনও পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও সূত্রের খবর, আগামিকাল সন্ধে ৬টায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন। সেখানা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাচক্রে সোমবার সকালে রাজ্য রাজনীতি শোরগোল পড়ে যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির একটি বিস্ফোরক চিঠিতে। যেখানে আসানসোলের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের পাঠানো টাকা খরচ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফিরহাদকে লেখা চিঠিতে তাঁর বক্তব্য ছিল, “রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রের টাকা উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” পুরমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, “কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের ২০০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল। রাজনৈতিক কারণে পুরদফতর এই টাকা নিতে দেয়নি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে কেবল রাজনৈতিক কারণে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, একই কারণেই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের টাকা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল। প্রাক্তন মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের এই চিঠি সাম্প্রতিক বঙ্গ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে। এহেন চিঠিতে তাঁকেও তৃণমূলের ‘বেসুরো’ নেতাদের তালিকায় ফেলতে শুরু করেন পর্যবেক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: দল ডেকেছে, তবুও নিজের অবস্থানেই অনড় জিতেন্দ্র
তবে ফিরহাদ হাকিমের সাতবার ফোন করার পরও জিতেন্দ্র সাড়া না দেওয়ায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রেরও ‘তাল কাটার’ আশঙ্কা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। যদিও ফিরহাদ হাকিমের দাবি, জিতেন্দ্র তিওয়ারি চিঠিতে যা উল্লেখ করেছেন, তা অনেকটাই ভুল। তিনি বলেন, “জিতেন যে টাকার কথা বলছে সেগুলো ভুয়ো। স্মার্ট সিটিতে ১০০ কোটি টাকার ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার দেয়। সব সময় কেন্দ্রীয় সরকার পুরো টাকা দেয় না। স্মার্ট সিটি প্রকল্পতে আমরা উৎসাহ দেখাই না। কেন্দ্রীয় সরকার যদি ৫০০ কোটি দেয় তাহলে আমাদেরও ৫০০ কোটি করে দিতে হবে। আমাদের অত বাজেট থাকে না।” কটাক্ষের সুরে তিনি আরও বলেন, আসানসোলের উন্নয়নের জন্য ওঁকে অনেক টাকাই দেওয়া হয়েছে। সেসব তো চিঠি লেখেনি। ও নিশ্চয়ই গ্যাস খেয়ে লিখেছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণেই উন্নয়নের টাকা ব্যবহার করতে ‘বাধা’, ফিরহাদকে লেখা চিঠিতে বিস্ফোরক বিধায়ক