Firhad Hakim On Dengue: গ্রামে অর্থনৈতিক উন্নয়ন জেরে ডেঙ্গির প্রকোপ, দায়ী বিষুব রেখাও, যুক্তি ফিরহাদের
Firhad Hakim On Dengue: গ্রামে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে ভৌগোলিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, "বিষুবরেখার দু'ধারে ডেঙ্গি হয়। সে কারণে গ্রামীণ এলাকাতে এখন ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে।"
কলকাতা: গত বছরের তুলনায় এবারের পরিসংখ্যানটা অনেকটাই বেশি। গড়ে মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশই গ্রাম বাংলার। বাংলায় ডেঙ্গির আক্রান্তের যা হার, তা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের। বাংলায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গি আসছে, কী করব?” আর কলকাতার মেয়র কথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের যুক্তি, গ্রামে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, কারণ গ্রামে এখনও আর্থিক উন্নয়ন হয়েছে। শুনতে কিছুটা অদ্ভুত লাগলেও নিজের বক্তব্যের সপক্ষেও যুক্তি খাড়া করেন তিনি।
কলকাতা পুরনিগমে সাংবাদিকদের সামনাসামনি হয়ে ফিরহাদ বলেন, ” আগের শহর এলাকায় ডেঙ্গি বেশি হত। এখন গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গির প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। শহর থেকে গ্রামে ডেঙ্গির মাত্রা অনেক বেশি হচ্ছে। এটার কারণ হচ্ছে আর্থিক উন্নয়ন।” ফিরহাদ জানান, মঙ্গলবার মুখ্যসচিবের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। কলকাতা পুরনিগমের মতো জেলার পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পরিকাঠামো তৈরি করতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান। তাঁর যুক্তি, আগে শহর এলাকায় ডেঙ্গি বেশি হত। এখন গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গির প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ হচ্ছে আর্থিক উন্নয়ন। তাঁর কথায়, “গ্রামীণ এলাকায় চালের বাড়ি থাকত। ঢালাই করা ছাদ থাকত না। ঢালাই করা ছাদ না থাকায় কাপের ভাঁড় নিয়ে এনে রাখত না। উপর থেকে গড়িয়ে পড়ে যেত। খোলা নর্দমা থাকত, একটু গোবর থাকত, গরু থাকত, তাই সেই কারণে ডেঙ্গি মহামারি আকার হয়ে আসত না।” মন্ত্রীর যুক্তি অনুযায়ী, পেরি আরবানাইজেশনের জন্য ডেঙ্গি বা অন্যান্য রোগ দেখা দেয়।
গ্রামে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে ভৌগলিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “বিষুবরেখার দু’ধারে ডেঙ্গি হয়। সে কারণে গ্রামীণ এলাকাতে এখন ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে।”
তিনি জানান, গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিস্থিতি মোকাবিলা ও তদারকি করতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রাজ্যে এই জুলাইয়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে অন্তত সাত জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে আসছে। যাঁদের ধরা পড়েছে, সব বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। প্রতিবেশী দেশ। কী করব?” মন্ত্রী দিচ্ছেন এই যুক্তি। বিরোধীদের প্রশ্ন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় আদৌ কি সব ব্যবস্থা খাতায় কলমে। এই সব যুক্তি খাড়া করে কি আদৌ দায় এড়ানো সম্ভব?