Firhad Hakim: বড় আশা ছিল মুখ্যমন্ত্রী হবে, তাই পাল্টি খেয়েছে: ফিরহাদ
Firhad Hakim: সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শাসক শিবিরের আক্রমণের নিশানায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতার হাজরা তৃণমূলের শক্ত দুর্গ। সোমবার সেখানে সভা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদাররা। আর সেই সভার পরের দিনই হাজরার মোড়ে সভার আয়োজন করে তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবির। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কুণাল ঘোষ, সুব্রত বক্সি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের তাবড় নেতা-নেত্রীরা। সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শাসক শিবিরের আক্রমণের নিশানায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু অধিকারী গতকাল শাসক দলের ‘পাল্টা’ সভা নিয়ে যে খোঁচা দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই নিয়ে এদিন সরব হলেন ফিরহাদ হাকিম। বললেন, “আপনি এত গুরুত্বপূর্ণ নন তৃণমূলের জন্য যে আপনি সভা করলে পরের দিন তৃণমূলকে সভা করতে হবে। আমরা দায়বদ্ধ মানুষের কাছে, আপনাদের মিথ্যাচারের বিষয়ে জানানোর জন্য। সেই জন্য আমরা সভা করি।” ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বড় আশা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী হবে। যে কুঁজো, তাঁরও তো সোজা হতে ইচ্ছা করে। তাই পাল্টি খেয়েছে। কিন্তু ওরা জানে না, পাল্টিবাজদের বিজেপিও জায়গা দেয় না। ইউজ় অ্যান্ড থ্রো। যেমন গুজরাটে হার্দিক প্যাটেলকে মন্ত্রিসভায় রাখেনি।”
এর পাশাপাশি এদিন লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর প্রসঙ্গও উঠে আসে তৃণমূলের হাজরার সভায়। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বললেন, “১২ তারিখ কী হল? সিবিআই হেফাজতে একজনের মৃত্যু। বগটুই কাণ্ড তোমরাই তো ইস্যু করছিলে। আজ সে মারা গেল কীভাবে? সিবিআইয়ের কে কী দায়িত্বে ছিল, আমাদের জানার দরকার নেই, তদন্তের বিষয়, তদন্ত চাইব। কিন্তু যে শুভেন্দু অধিকারী কথায় কথায় বলেন, সিবিআই এরপর ওর বাড়ি যাবে, সিবিআই অমুক মাসে এই করবে, অমুক তারিখ এই করবে… তাহলে ১২ তারিখ শুভেন্দু অধিকারীর কথা মতো এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে কি না… শুভেন্দু অধিকারীকে কলার ধরে গ্রেফতার করে এই মৃত্যু রহস্যের তদন্ত করতে হবে।”