Firhad Hakim: পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ ফিরহাদ হাকিমের বোন
Firhad Hakim: গীতি হাকিমের আরও দাবি, চলতি বছরে দুর্গা পুজোর অনুমতির জন্য কলকাতা পুলিশের পোর্টালে গত ৩০ অগস্ট আবেদন করেছিলেন তিনি। ৮ সেপ্টেম্বর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন নিজেই। পরবর্তীতে ১৮ তারিখ পোর্টাল খুলতে গিয়ে কোনওভাবেই আর খুলতে পারেননি।
কলকাতা: সাইবার প্রতারণার অভিযোগ জানানোর পরেও অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ফিরহাদ হাকিমের বোন গীতি হাকিম। অভিযোগ, গাড়িয়াহাট থানার ওসি সলিল রায়ের বিরুদ্ধে। গীতি হাকিমের দাবি, ফার্ন রোড সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। বিগত ৩ বছর ধরে এই পুজোর সেক্রেটারি তিনি। গত বছর পুজো কমিটির কাছে কাউন্সিলর সুর্দশনা মুখোপাধ্যায়ের নাম করে ২ লক্ষ টাকা দাবি তাঁর কয়েকজন অনুগামী। টাকা দিতে রাজি না হওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে চাপ তৈরি শুরু হয় গীতি হাকিমের উপরে, এমনই দাবি।
গীতি হাকিমের আরও দাবি, চলতি বছরে দুর্গা পুজোর অনুমতির জন্য কলকাতা পুলিশের পোর্টালে গত ৩০ অগস্ট আবেদন করেছিলেন তিনি। ৮ সেপ্টেম্বর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন নিজেই। পরবর্তীতে ১৮ তারিখ পোর্টাল খুলতে গিয়ে কোনওভাবেই আর খুলতে পারেননি। অভিযোগ তাঁর অজান্তে আইডি চেঞ্জ করে দেওয়া হয়েছে। কলকতা পুলিশ এবং লালবাজার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই পোর্টাল। পুলিশের সহযোগিতায় এই কাজ হয়েছে। এর পিছনে গড়িয়াহাট থানার ওসি সলিল রায়ের হাত আছে বলেই অভিযোগ গীতি হাকিমের।
কলকতা পুলিশের সাইবার থানা থেকে শুরু করে ডিসি সাইবার সহ বেশ কয়েকটি জায়গাতে ইমেল করে অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। যে পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থাৎ সলিল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানাচ্ছেন গীতা দেবী। পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না, এই অভিযোগেই কলকতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন গীতি হাকিম। পাশাপাশি গীতা হাকিমের অভিযোগ, ২ লক্ষ টাকা তার কাছে দাবি করা হয়েছিল সে বিষয়েও তিনি অভিযোগ জানালেও পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে FIR করেনি। পুজো দখল করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।