Kolkata Airport: প্রবল বৃষ্টির জেরে ভাসছে উত্তরবঙ্গ, সকাল থেকে ওড়েনি একটিও বিমান

Kolkata Airport: কলকাতা বিমানবন্দরে সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কখন বিমান উড়বে কেউ বলতে পারছে না।

Kolkata Airport: প্রবল বৃষ্টির জেরে ভাসছে উত্তরবঙ্গ, সকাল থেকে ওড়েনি একটিও বিমান
অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 12:30 PM

কলকাতা: মঙ্গলবার থেকে অঝোরে বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টির জেরে কার্যত ভাসছে উত্তরবঙ্গ। কোথাও হলুদ সতর্কতা, কোথাও লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে জলস্তরও বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের পর্যটকরা। কারণ আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিমান পরিষেবা। বাগডোগরা থেকে কোনও বিমানই ওড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও বিমান যাচ্ছে না বাগডোগরায়। কলকাতা বিমানবন্দরে বুধবার সকাল থেকে লাউঞ্জে বসে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, প্রতিকূল আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে বুধবার সকাল থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ২৪ জোড়া বিমান ওঠানামা করে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এ দিন কোনও বিমান ওঠানামা করেনি। রাজ্যের অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও বাগডোগরাগামী কোনও বিমান ওড়েনি। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীরা লাউঞ্জে অপেক্ষা করছেন।

কখন বিমান ছাড়বে, সে ব্যাপারে সঠিকভাবে তথ্য দিতে পারছেন না কেউ। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা গামী স্পাইসজেটের একটি বিমান সকাল ৬ টা ৫০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। সেই sg 3321 বিমান ওড়েনি। এয়ার এশিয়ার i5582 বিমানটিও ৯ টা ১০ মিনিটে ওড়ার কথা থাকলেও কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রস্থান করতে পারেনি।

মঙ্গলবার থেকেই এই একই পরিস্থিতি। মঙ্গলবার মাত্রা দুটি বিমান বাগডোগরা ছাড়লেও আর কোনও বিমান উড়তে পারেনি। ওই দিন উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্য উড়তে পারেনি বিমান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সড়ক পথেই ফিরতে হয় শুভেন্দুকে। অন্যদিকে, টিকিট কাটা থাকলেও উড়ান বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পাহাড়ে আসা বহু যাত্রী। অনেকেই বাধ্য হয়ে ধরেছেন সড়ক পথ।

উল্লেখ্য, বুধবার অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। ভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরেও।