Buddhadeb Bhattacharjee: বুদ্ধবাবুকে নিয়ে কোথায় উদ্বেগ, জানাচ্ছেন তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতি
Buddhadeb Bhattacharjee: চিকিৎসক সোমনাথ মাইতির কথায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বুকের সংক্রমণই উদ্বেগের। সেটা নিয়ন্ত্রণে এলে এবং উনি নিজের ছন্দে আসতে আসতে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলে, তা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাবে চিকিৎসকদের।
কলকাতা: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee) সিওপিডির রোগী। বাড়িতে বাইপ্যাপ সাপোর্টেই থাকতে হয় তাঁকে। শনিবার শ্বাসকষ্ট, জ্বর নিয়ে ভর্তি হন আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই এখন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। বাড়িতে চিকিৎসক সোমনাথ মাইতির পর্যবেক্ষণে থাকেন বুদ্ধবাবু। অর্থাৎ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক গতিবিধি তাঁর নখদর্পণে। কেন শনিবার তড়িঘড়ি বুদ্ধবাবুকে হাসপাতালে আনতে হল? কেনই বা ভেন্টিলেটরে রাখতে হল তাঁকে? এখনই বা কেমন আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? চিকিৎসক সোমনাথ মাইতি বলেন, “একদিকে সিওপিডির রোগী, অন্যদিকে টাইপ টু রেসপিরেটরি ফেলিওর। এখন ভেন্টিলেটরে আছেন। ভেন্টিলেশনে থাকা মানে বিষয়টা ক্রিটিকাল। কিন্তু যেটা স্বস্তির, উনি ভেন্টিলেটরে আছেন, ক্রিটিকাল আছেন, কিন্তু প্যারামিটার। ভাইটাল প্যারামিটার এই মুহূর্তে মেইনটেন করছে।”
চিকিৎসক সোমনাথ মাইতি জানান, বাড়িতে জ্বর ছিল। তবে অক্সিজেন সাপোর্টে থাকার পরও যে মুহূর্তে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩০ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। তবে এখনও বুদ্ধবাবুর বিপদ যে কাটেনি সে কথাও জানালেন তিনি। সোমবার সিটি স্ক্যান করানো হবে বুদ্ধবাবুর। রক্তের বেশ কিছু পরীক্ষার রিপোর্টও হাতে এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড।
বুদ্ধবাবুর পারিবারিক চিকিৎসক সোমনাথ মাইতির কথায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বুকের সংক্রমণই উদ্বেগের। সেটা নিয়ন্ত্রণে এলে এবং উনি নিজের ছন্দে আসতে আসতে নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলে, তা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাবে চিকিৎসকদের। “তবে ভাল দিক হল, উনি সাড়া দিচ্ছেন, কমিউনিকেট করার চেষ্টা করছেন”, বলছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সর্বক্ষণ যাঁর পর্যবেক্ষণে থাকেন, সেই চিকিৎসক। শনিবারের তুলনায় রবিবার কিছুটা উন্নতির দিকে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা। তবে সোমনাথ মাইতির কথায়, “রোগী ভেন্টিলেশনে থাকলে কিছুতেই আমরা পুরোপুরি স্টেবল কিছুতেই বলতে পারি না। প্রতি মুহূর্ত আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে।” অন্যদিকে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, “দুপুরে রক্তচাপ সামান্য ওঠানামা করেছিল। সিটি স্ক্যান, রক্তপরীক্ষায় যদি দেখা যায় সংক্রমণের মাত্রা কমেছে তাহলে ভেন্টিলেশন থেকে বার করানোর কথা ভাবা হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা দুপুরের পর থেকে নিয়ন্ত্রণে।”