Sandip Ghosh: অগ্নিকোণে মানিপ্ল্যান্ট, ঈশানকোণে তুলসী! বাস্তু-বিশ্বাসী সন্দীপের বাড়িজুড়ে সূর্যদেব-বজরংবলী-তুলসী

Sandip Ghosh: বাড়ির ছাদের পূর্ব দিকে রয়েছে আরও একটি স্বস্তিক চিহ্ন ও হনুমান দেবতার ছবি। ছাদের দক্ষিণ দিকে রয়েছে বজরংবলীর পতাকা। এই কোণে বজরংবলীর পতাকা থাকাও শুভ হিসাবে ধরা হয়। সন্দীপের বাড়ির দোতলার ঈশান কোণে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণে রয়েছে তুলসী গাছ। বাস্তুমতে এই কোণে তুলসী গাছ থাকা শুভ।

Sandip Ghosh: অগ্নিকোণে মানিপ্ল্যান্ট, ঈশানকোণে তুলসী! বাস্তু-বিশ্বাসী সন্দীপের বাড়িজুড়ে সূর্যদেব-বজরংবলী-তুলসী
সন্দীপ ঘোষের বাড়ি।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2024 | 9:10 PM

কলকাতা: ভাগ্য মুঠোয় রাখতে কেউ বিশ্বাসী কর্মে। কেউ আবার কর্মের সঙ্গে রাহু-কেতুর মাথাতেও হাত বোলায়। শরীরজুড়ে নানা পাথরের খেলা। তারই সঙ্গে অনেকেই আবার বাস্তু-নির্ভরও। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এমনই একজন। ‘ঘোষবাবু’র বাস্তুতে ঘোর বিশ্বাস। বেলেঘাটার ৮৩ নম্বর বদন রায় রোডে তাঁর যে বহুতল বাড়ি ‘বালাজি নিবাস’, তা দেখলেই সহজে বোঝা যায়।

সন্দীপের বাড়ির মুখ্য প্রবেশদ্বার একদম পূর্বমুখী। যেদিক থেকে সূর্যোদয় হয়, ঠিক সেদিকেই পুরোপুরি ৯০ ডিগ্রি কোণে রয়েছে বাড়ির প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বারের দু’দিকে দু’টি স্বস্তিক চিহ্ন বসানো। বাড়ির পাঁচিলের দু’ কোণেও স্বস্তিক।

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়ির প্রবেশদ্বারে স্বস্তিক চিহ্ন থাকা শুভ। এই স্বস্তিক চিহ্ন খারাপ শক্তিকে বাড়িতে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। মূল গেট থেকে ঢোকার পরই বাড়িতে ঢোকার দরজা। সেই দরজার উপরে রয়েছে পঞ্চমুখী হনুমান দেবতার একটি ছবি। বাস্তুমতে বিশ্বাস করা হয়, এই ছবিও খারাপ শক্তিকে গৃহে প্রবেশে আটকায়। বাড়িতে সুখ, শান্তি বজায় থাকে।

এখানেই শেষ নয়। বাড়ির দোতলার বারান্দার সামনের অংশে পূর্ব দিক করে ঝোলানো রয়েছে শনি দেবতার একটি মূর্তি। তৃতীয় ও চতুর্থ তলে পূর্বদিকে রয়েছে কপারের সূর্য দেবতার মুখ। বাস্তুশাস্ত্রে যারা বিশ্বাস করেন তারা মানেন, বাড়ির পূর্বদিকে সূর্য দেবতার মূর্তি রাখলে তা বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আনে। অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখে।

বাড়ির ছাদের পূর্ব দিকে রয়েছে আরও একটি স্বস্তিক চিহ্ন ও হনুমান দেবতার ছবি। ছাদের দক্ষিণ দিকে রয়েছে বজরংবলীর পতাকা। এই কোণে বজরংবলীর পতাকা থাকাও শুভ হিসাবে ধরা হয়। সন্দীপের বাড়ির দোতলার ঈশান কোণে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণে রয়েছে তুলসী গাছ। বাস্তুমতে এই কোণে তুলসী গাছ থাকা শুভ।

আর অগ্নিকোণে অর্থাৎ দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের কোণে রয়েছে মানিপ্ল্যান্ট। ঘরের এই কোণে মানিপ্লান্ট বসানো মানেই অর্থ সদা প্রসন্ন। বাস্তু মেনেই বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পয়প্রণালী ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ গোটা বাড়িটাই বাস্তু মতে তৈরি করা হয়েছে। কোনও পেশাদার বাস্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতোই বাড়ি তৈরি করেছেন সন্দীপ, তা স্পষ্ট।

এমনকী কোন রং বাড়ির জন্য শুভ, সেটাও বাস্তুমত মেনে করা হয়েছে বলেই মনে করছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা। বাস্তুসম্রাট সুবীর শাস্ত্রী বলেন, ”বোঝাই যাচ্ছে গৃহকর্তা বাস্তু মেনে চলেন। সবটাই বাস্তুসম্মত। হয়ত এতদিন উপকারও পেয়েছেন। গৃহকর্তার এখন কী দশা চলছে সেটা দেখা দরকার। তবে যাই করুন না কেন, এটা ভাবার কোনও কারণে নেই যে খারাপ কাজ করেও রক্ষা পাওয়া যাবে। ভাল কাজ করে বাস্তু মেনে চললে ভাল ফল পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষের ক্ষতি করলে তার ফল ভুগতেই হবে।”

সুবীর শাস্ত্রী আরও বলেন, ”জ্যোতিষবাস্তু মতে দেখা যাচ্ছে ওই বাড়ির প্রধান দ্বার রয়েছে সূর্য ভাগে। এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে গৃহকর্তা অত্যন্ত জেদি ও রাগী প্রকৃতির মানুষ। তবে এরকম গৃহের অবস্থানের ক্ষেত্রে জাতকের যোগাযোগ সমাজের উঁচুস্তর পর্যন্ত স্থাপিত হয়।” বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৎ পথে থেকে মানুষের জন্য ভাল করলে বাস্তুমতে মানুষের মঙ্গল হয়। কিন্তু কুকর্ম করলে তার ফলও ভুগতেই হবে। এক্ষেত্রে কী হবে সন্দীপের, তা সময়ই বলবে।