ফের ভরা কোটাল, আজ দুপুরেই গঙ্গার জলস্তর ছাড়াবে ১৮ ফুট

কলকাতায় ফের জল জমার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। যদিও নেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

ফের ভরা কোটাল, আজ দুপুরেই গঙ্গার জলস্তর ছাড়াবে ১৮ ফুট
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 25, 2021 | 11:45 AM

কলকাতা: ফের একবার রাজ্যে ভরা কোটালের সতর্কবার্তা। শুক্রবার ফের জলস্তর বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে জলস্তর বাড়তে পারে। ১৮ ফুটের ওপর উঠতে পারে গঙ্গার জলস্তর। কলকাতায় জল সমার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

জানা গিয়েছে, জল জমার সম্ভাবনা কমাতে গঙ্গার তীরবর্তী লকগেটগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুপুর ১ টা থেকে ৩ টে ৪৫ পর্যন্ত লকগেটগুলি বন্ধ রাখা হবে। যদিও এই সময়ের মধ্যে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। তাই খুব বেশি জল জমার আশঙ্কা নেই কলকাতায়।

ইতিমধ্যেই এই কোটাল নিয়ে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে সবরকমভাবে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রা‌জ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। ভরা কোটালের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে জেলাগুলিকে।

আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাব কমবে। আজ বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি-কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারে। আজ কলকাতায় থাকবে আংশিক মেঘলা আকাশ । দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘চামার, ক্রিমিনাল!’ বিধায়ককে আক্রমণ দলেরই নেতার, অডিও ক্লিপ যাচ্ছে মমতার কাছে

পাঞ্জাব থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখা ঝাড়খন্ডের ঘূর্ণাবর্ত ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এর প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। সেখান থেকে পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা উত্তর গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে ওড়িশায় ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে।