Garfa murder update: সুস্মিতার জীবনে ছিল দ্বিতীয় পুরুষ! বাগদত্তার মোবাইলে কী এমন দেখেছিলেন পঙ্কজ?
Garfa murder update: গড়ফার তরুণী খুনের ঘটনায় আরও স্পষ্ট হচ্ছে খুনের কারণ। ত্রিকোণ প্রেমের যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
কলকাতা : ভর সন্ধ্যায় নিজের বাগদত্তাকে কেন খুন করলেন যুবক? এই প্রশ্নের উত্তর খঁজতে গিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। গড়ফা খুনে ত্রিকোণ প্রেমের গন্ধ পেল পুলিশ। পঙ্কজ নামে ওই যুবকের সঙ্গে মৃত সুস্মিতা দাসের বিয়ে ঠিক হয়ে গেলেও সুস্মিতার জীবনে পঙ্কজই একমাত্র পুরুষ ছিলেন না বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, সেই দ্বিতীয় পুরুষের কথা জানতে পেরেই পঙ্কজ খুন করতে উদ্যত হন। রবিবার সন্ধ্যায় সুস্মিতার ঘরেই দীর্ঘক্ষণ ছিলেন পঙ্কজ। আর তিনি বেরনোর পর পরিবারের লোকজন সুস্মিতাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দিন রাতেই পঙ্কজ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেযে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সুস্মিতার। শুধু তাই নয়, সুস্মিতার পরিবারের লোকজনও জানতেন সে কথা। কিন্তু এই কথা জানতে পারলে যদি পঙ্কজ বিয়ে থেকে পিছিয়ে যান, তাই পরিবারের তরফে সে কথা তাঁকে জানানো হয়নি বলেই দাবি পঙ্কজের। কিন্তু সেই সম্পর্কের কথা রবিবার দুপুরেই জেনে ফেলেন পঙ্কজ। সুস্মিতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর কাছে।
ছুটির দিনে সম্ভবত প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন পঙ্কজ। কথাবার্তার মাঝেই কোনও ভাবে চোখে পড়ে যায় ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। পরিবারের সদস্যদের কাছে সেই অভিযোগ জানাতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁরা সবকিছু আগে থেকেই জানতেন। সব কিছু জেনেও পঙ্কজকে কিছু জানানো হয়নি বলেই ক্ষোভ বাড়ে তাঁর। পুলিশের দাবি, ঘরের মধ্যে দু-জনের ব্যাপক বচসা হয়। তারপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে সুস্মিতাকে খুন করেন পঙ্কজ। এরপরেই দরজা বন্ধ করে দিয়ে, ‘কাজ আছে’ বলে সুস্মিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পঙ্কজ দাস। তবে ওই দ্বিতীয় ব্যক্তি কে, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।