CV Ananda Bose: কেরলে দুর্গাপুজো করার উদ্যোগ রাজ্যপাল আনন্দ বোসের
বাংলার সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরলে দুর্গাপুজো করার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। রবিবার কলকাতায় বসবাসকারী মালায়ালাম সমাজের ওনাম উৎসব পালন করতে এসেছিলেন তিনি।
কলকাতা: বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে জুড়তে চেয়েছিলেন। সে জন্য বাংলা ভাষাও শেখা শুরু করেন। এ বার বাংলার সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরলে দুর্গাপুজো করার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। রবিবার কলকাতায় বসবাসকারী মালায়ালাম সমাজের ওনাম উৎসব পালন করতে এসেছিলেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে এসে এ কথা জানালেন রাজ্যপাল। রাজ্যে দুর্গাপুজোর সময় কেরল থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেরলে দুর্গাপুজো করতে কলকাতা থেকেও একটি দল যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্ব পাওয়ার পরই বাংলা শেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন কেরলের বাসিন্দা সিভি আনন্দ বোস। বাংলার সঙ্গে তাঁর দূর সম্পর্কের যোগের কথাও জানিয়েছিলেন। সেই মতো এ বছর সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। সরস্বতী পুজোর দিন বিকালে সেই হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। সেই দিন বাংলায় বক্তৃতাও করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর বক্তব্য শুরু করেছিলেন সিভি বোসের মাতৃভাষা মালায়ালামে। হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে বোস বলেছিলেন, “আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালবাসি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আমার নায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।” এর কয়েক সপ্তাহ পর বাংলা শেখার জন্য একজন শিক্ষকও নিয়োগ করা হয়। তিনি রাজভবনে এসে বাংলা ভাষার পাঠ দেওয়া শুরু করেন রাজ্যপালকে।
তবে এই সব ঘটনা যখন ঘটেছিল তখন রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের ছন্দপতন হয়নি। বরং ধনখড় পরবর্তী সময়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সম্পর্কের ‘মেরামতির’ আশাও করেছিলেন অনেকে। কিন্তু যত দিন গিয়েছে, রাজভবন ও নবান্নের দূরত্ব বেড়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধী প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে যা চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতেই কেরলে দুর্গাপুজো করতে উদ্যোগী হলেন আনন্দ বোস।