Moidul Islam: ১০ দিন ধরে গৃহবন্দি শিক্ষক নেতা! শিক্ষা সচিবকে চিঠি রাজ্যপালের
SSK Teacher: শিক্ষকদের বিষ খাওয়ার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এসএসকে শিক্ষক আন্দোলনের নেতা মইদুল ইসলামের (Moidul Islam) বিরুদ্ধে।
কলকাতা: শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বঞ্চনার অভিযোগ, বিষপানের ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) চিঠি দিয়েছিল শিক্ষকদের সংগঠন। সেই ইস্যুতেই এবার হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল (Governor)। আন্দোলন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের (Health Department) সচিবের কাছে জানতে চাইলেন তিনি। গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফ থেকে বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল রাজ্যপালকে। আজ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল।
গত ১০ দিন ধরে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন মইদুল ইসলাম। তাঁর বাড়ির সামনে চলছে পুলিশের নজরদারি। রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে নালিশ জানান তিনি। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে অন্যায় ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। বেলেঘাটার চালপট্টি এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতের সামনে রয়েছে পুলিশ।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ নিউটাউন নর্থ থানা ও বেলেঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলামের শ্বশুর বাড়িতে যায়। বেলেঘাটা ৫১/বি/ এইচ চালপট্টি এলাকায় এই ফ্ল্যাট তাঁর শ্বশুরের। বিষপানে শিক্ষিকাদের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করতে চায় বলে অভিযোগ তোলেন মইদুল। এ নিয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও রাজ্যের বক্তব্য, গ্রেফতারি নয়, নোটিস দিতে এদিন রাতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। মহিদুলকে রাতে ঘরে থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে একাধিকবার অনুরোধ করেন পুলিশ আধিকারিকেরা । সেই সময় মহিদুল জানান, তিনি কোনওভাবেই রাতে থানায় যাবেন না। সকালে তিনি পুলিশের সাথে যেতে রাজি। এই নিয়ে চলে কথা কাটাকাটি।
আরও পড়ুন: TMC in Tripura: অভিষেকের সফরের আগেই নোটিস পেলেন কুণাল
শিক্ষক আন্দলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তাঁর বাড়িতে পুলিশের এই অভিযান বলে অভিযোগ করেন মইদুল। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষক আন্দলনের ঘটনায় শিক্ষিকাদের বিষ খাওয়ার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই এই পুলিশি পাহারা চলছে মইদুল এর শ্বশুরবাড়ির সামনে। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ,আত্মহত্যার চেষ্টা ,সরকারি কর্মচারীকে আঘাত করা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে উত্তর বিধান নগর থানায়। শিক্ষিকাদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছিল বলে সূত্রের খবর।
সংক্ষেপে বললে এই শিক্ষাকর্মীদের মূলত তিনটি দাবি। প্রথমত, কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতির কবল থেকে সমগ্র শিক্ষা মিশনের কর্মীদের যথা SSK/MSK শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক সহ চুক্তিভিত্তিক ভিত্তিকদের রক্ষা করা। দ্বিতীয়ত, বেতনবৃদ্ধি করা কারণ, ১০ হাজার টাকা অথবা তার কম ভাতাতে আর সংসার চলছে না এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে। আর তৃতীয়ত, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও বার্ষিক ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং ৩ লাখ টাকা অবসরকালীন সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না।