‘সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক’, পিএসি বিতর্কে এবার সরাসরি চিঠি রাজ্যপালের

পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুল রায়কে নির্বাচিত করার বিরোধিতা করেছে বিজেপি।মাস কয়েক আগে এই ইস্যুতে রাজ্যপালের দ্বারস্থও হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা।

'সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক', পিএসি বিতর্কে এবার সরাসরি চিঠি রাজ্যপালের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 11:39 AM

কলকাতা: ‘সংসদীয় ব্যবস্থার মর্যাদা ধরে রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে এ বার সরাসরি বিধানসভায় চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিধানসভা কর্তৃপক্ষকে লেখা চিঠিতে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন তিনি।

রাজ্যপালের দাবি, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসিতে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করা হলে সংসদীয় ব্যবস্থার রীতিনীতি ধাক্কা খাবে। এমন অভিযোগ তুলে আগেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। আর সেই ঘটনার প্রায় সাড়ে চার মাস পরে এই বিষযে বিধানসভা সচিবালয়কে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করলেন ধনখড়। পিএসি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। তার মধ্যেই রাজ্যপালের এই চিঠি ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মত বিধানসভার সচিবালয়ের অনেকেরই।

সচিবালয়ের একাংশের মতে, বিধানসভার কাজে রাজ্যপালের অহেতুক অনুপ্রবেশের মনোভাবই ফের একবার প্রতিষ্ঠিত হল। তাঁরা মনে করেন, বিধানসভার পিএসি-সহ সব কটি কমিটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারি কেবলমাত্রা অধ্যক্ষ। ফলে এ বিষয়ে বিধানসভায় চিঠি পাঠানোর অর্থ স্পিকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা বলেই মনে করছেন তাঁরা। যদিও রাজভবনের মতে, রাজ্যপাল পরামর্শ দিয়েছেন। আর দিতেই পারেন তিনি। এর মধ্যে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ না আনাই ভাল।

তবে পিএসি বির্তক যে থামার নয়, তা কয়েকদিন আগে জন্মাষ্ঠমীর অনুষ্ঠানেও স্পিকারের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার মঞ্চ ভাগ না করার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছিল। কারণ, বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, পিএসি সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হোক। অর্থাৎ তাঁর ইঙ্গিত যে চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুলকে সরিয়ে অন্য কাউকে (বিজেপির) করার দিকে, তা স্পষ্ট বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের অনেকের।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘সংবিধানে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে, কার কোনটা এ্ক্তিয়ার।’ তাঁর দাবি, বিধানসভার কোনও কমিটির বিষয় স্পিকারের দেখার কথা। তাপস রায় আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল হঠাৎ নীরবতা ভেঙে নাক গলাচ্ছেন কেন। এ বিষয়ে ওনার কিছু বলার কথা নয়। রীতি বা পরম্পরায় এ বিষয়ে কিছু বলার এক্তিয়ার নেই রাজ্যপালের।’ পরামর্শ দেওয়াত যে দাবি রাজভবনের তরফে সামনে আনা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে তাপস রায় বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে পারেন না উনি। ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা আছে। পরামর্শ দিতেই পারেন তবে তা গ্রহণযোগ্য না হলে গ্রহণ করা হবে না।’

অন্যদিকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এই প্রসঙ্গে শাসক দলকে বিঁধে বলেন, ‘বিতর্কের সূত্রপাত তো নিয়ম ভাঙা নিয়ে। স্পিকার কি অস্বীকার করতে পারবেন যে তিনি বারবার দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন,কারণ তা শাসক দলের বিপক্ষে যাচ্ছে। ৫ বছরে শুধু ২১-২২ বার হিয়ারিং হয়েছে। এটা কি নিরপেক্ষতার পরচয়?’ বিজেপি নেতার কথায়, ‘স্পিকার যদি ঘুমিয়ে থাকনে, তাহলে ভারতীয় আইন কি ঘুমিয়ে থাকবে? নৈতিকতার প্রশ্নে উত্তর দিক তৃণমূল। আরও পড়ুন: ‘ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ওঁ’, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলীপের