‘ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ওঁ’, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলীপের

Post Poll Violence: হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য যে সুপ্রিম কোর্টে যাবে, তা একপ্রকার অবশ্যম্ভাবী ছিল। তৃণমূল নেতৃত্বও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

'ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ওঁ', ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলীপের
আদি নেতাদের গুরুত্ব দিতে তত্‍পর পদ্ম শিবির, ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 9:29 AM

কলকাতা: “আগে যারা বলত সিবিআই কোনও কাজের নয়, তারাই এখন সিবিআইকে ভয় পাচ্ছে।” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP State President Dilip Ghosh)।

বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃনমূলও দাবি করেছে তাদের ১৬ জন মারা গিয়েছেন। ১৬ জন লোক মারা যাওয়া কী কম ব্যাপার! কতজন মানুষ মরলে ওঁ স্বীকার করবেন। আমাদের ৫০-৬০ কর্মী মারা গিয়েছেন।” সিবিআই তদন্তে রাজ্যের অসন্তোষ নিয়ে দিলীপ বলেন, “কোর্ট যখন সমস্ত তথ্য দেখেছেন। কমিশনের টিম পাঠিয়েছেন, তারা দেখেছেন ইনকোয়ারি করে রিপোর্ট দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ চলছে।” এরপরই রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “যারা এতদিন বলত সিবিআই কোনও কাজেরই না, তারাই এখন সিবিআইকে ভয় করছে। সিবিআই এখন মাঠেঘাটে জঙ্গলে পৌঁছে যাচ্ছে। এখন বুঝতে পারছে আর কিছু লুকিয়ে রাখা যাবে না। বাঁচার শেষ রাস্তা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, গত ১৯ অগস্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলির তদন্তভার তুলে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। অন্যদিকে, বাকি হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশের তিন সদস্যের একটি সিট গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো রাজ্য়ে এসে ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। ৩০-টির বেশি এফআইআরও রুজু করা হয়েছে।

হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য যে সুপ্রিম কোর্টে যাবে, তা একপ্রকার অবশ্যম্ভাবী ছিল। তৃণমূল নেতৃত্বও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যদিও এতে খুব একটা লাভ হতে পারে, এমন কোনও সম্ভাবনা দেখছে না আইনজীবী মহল।

কারণ, ভোট পরবর্তী হিংসার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ভিন্ন হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু একটি বিষয়ে সকলেই সহমত হন। তা হল- খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধের তদন্ত যেন সিবিআই দ্বারা করা হয়। ঠিক এই জায়গাতেই সুপ্রিম কোর্টে গেলেও রাজ্য়ের আপত্তি ধোপে নাও টিকতে পারে। শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখার নির্দেশ দিতে পারে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। যদিও রাজ্য সরকারের আগাগোড়াই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল।

রাজ্য সরকার যদিও প্রথম থেকে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার কথা অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু হাইকোর্ট নিজের রায়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেই মান্যতা দিয়েছে, সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে যাবতীয় খুন ধর্ষণের তদন্তভার তুলে দেওয়া হলেও গোটা বিষয়টির উপর আদালতের কড়া নজর থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি মামলার রায়ে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। তার আগেই শীর্ষ আদালতে হাজির হল রাজ্য। আরও পড়ুন: অবসর নিচ্ছেন ডিজি বীরেন্দ্র, রাজ্যের পরবর্তী পুলিশ প্রধান হতে পারেন এই মহিলা আইপিএস