Group D: গ্রুপ ডি-র সম্ভাব্য ১৪৪৪ জনের ওয়েটিং লিস্টেও কারচুপি, গরমিল জেনেও তালিকায় কেন নাম?
Group D: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমের খোঁচায় গ্রুপ-ডি মামলায় চাকরি খোয়ালেন ১ হাজার ৯১১ জন। তাঁদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন।
কলকাতা: গ্রুপ ডি-তে (Group D Recruitment) আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ১৯১১ জনের। সেই জায়গায় নিয়োগের জন্য শনিবার সম্ভাব্য ওয়েটিং লিস্টে থাকা নামের তালিকা প্রকাশ করল SSC। এরাই আপাতভাবে চাকরি পাবেন। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের OMR-য়েও কারচুপির আশঙ্কা করছে খোদ কমিশনই। মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের নম্বরে থাকতে পারে গরমিল। প্রশ্ন উঠছে, তারপরও কেন তালিকায় নাম রয়েছে? উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন ৩ সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। তবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরপ্রার্থীদের OMR-এ গরমিল থাকলে চাকরি বাতিল হবে। কমিশন জানিয়েছে, OMR শিটে গরমিল ধরা পড়লে কোনও নোটিস ছাড়াই নাম বাদ দেওয়া হবে।
১৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই জায়গায় ১৪৪৪ জনের যে নাম ঘোষণা করল স্কুল সার্ভিস কমিশন, তার মধ্যেও ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে। ওয়েটিং লিস্টেও টাকার খেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এসএসসি। তবুও আদালতের নির্দেশে তারা তালিকা প্রকাশ করেছে। যে ১৪৪৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের চাকরি এখন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যেই ওএমআর শিটে জালিয়াতি প্রমাণিত হলে, তাঁদের নাম বাদ যাবে।
উল্লেখ্য, একাধিক ওএমআর শিট TV9 বাংলার হাতে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, তাঁরা প্রত্যকেই সাদা খাতা জমা দিয়েছেন, শূন্য পাওয়া ওয়েটিং পদপ্রার্থী। কমিশনের প্রকাশিত কাউন্সিলিং লিস্টে তাঁদের নাম রয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ করছে। তবে তাঁদের চাকরির বেনিয়ম আদালতে প্রমাণিত হলে, তা বাতিল করা হবে।
কিন্তু কেন এত তাড়াতাড়ি নিয়োগ? আসলে স্কুলগুলোতে যদি গ্রুপ ডি কর্মী না থাকেন, তাহলে খুবই সমস্যা হবে কাজের ক্ষেত্রে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে রাজ্যে এজি বিচারপতির সামনে সওয়াল করেছিলেন, “স্কুলগুলোতে ঘণ্টা বাজানোর লোক থাকবে না।” সে কারণেই এই দ্রুত নিয়োগ। শুধু তাই নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, পিটিশনার অর্থাৎ মামলাকারীদের ওএমআর শিটেও জালিয়াতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমের খোঁচায় গ্রুপ-ডি মামলায় চাকরি খুইয়েছেন ১ হাজার ৯১১ জন। তাঁদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন।