Health Commission: পানীয় জল রোগীর অধিকার, এর জন্য টাকা নেওয়া যাবে না! বেসরকারি হাসপাতালগুলির খরচে লাগাম স্বাস্থ্য কমিশনের
Private Hospitals of West Bengal: প্রথমত, পানীয় জল হল রোগীর অধিকার, তার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর কাছে রুটিন প্রসিডিউরের জন্য কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। তৃতীয়ত, আরএমও'র জন্য আলাদা করে চার্জ নেওয়া যাবে না।
কলকাতা : বেসরকারি হাসপাতালের খরচ নিয়ন্ত্রণে এক পা পিছিয়ে তিন পা এগোল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। কোভিড আবহে বেড চার্জ বাড়ানো যাবে না বলে অ্যাডভাইজরি জারি করেছিল স্বাস্থ্য কমিশন। এবার তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। কিন্তু এর পরিবর্তে নতুন করে তিনটি অ্যাডভাইজরির মাধ্যমে বেঁধে দেওয়া হল খরচ। প্রথমত, পানীয় জল হল রোগীর অধিকার, তার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর কাছে রুটিন প্রসিডিউরের জন্য কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। তৃতীয়ত, আরএমও’র জন্য আলাদা করে চার্জ নেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীম বন্দ্যোপ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন সময়ে যে মামলাগুলি শোনেন, সেগুলির সময় তাঁরা দেখেছেন, পানীয় জলের জন্যও হাসপাতালগুলি রোগীদের থেকে পরিষেবা চার্জ নিয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশনের বক্তব্য, রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে, পানীয় জল পাওয়া তাঁর অধিকার। এর জন্য বাড়তি কোনও চার্জ নেওয়া যাবে না।
তবে যদি রোগী বলেন, তাঁর প্যাকেজ ড্রিঙ্কিং ওয়াটার বা মিনারেল ওয়াটার চাই, তবে সেক্ষেত্রে রোগীর থেকে চার্জ নেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি, দ্বিতীয় একটি অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে রুটিন প্রসিডিউর অর্থাৎ, যদি কোনও সেন্ট্রাল আর্টারিয়র লাইন তৈরি হচ্ছে বা এই ধরনের যে প্রক্রিয়াগুলি রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত, তার জন্য কোনও বাড়তি চার্জ নেওয়া যাবে না রোগী বা তার পরিজনদের থেকে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলি বছরে একবারই বেড পিছু চার্জ বাড়াতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও লাগাম টানা হয়েছে। বর্তমানে যে বেড চার্জ রয়েছে, তার ১০ শতাংশের বেশি চার্জ বাড়ানো যাবে না। অর্থাৎ, যদি বর্তমান বেড চার্জ ১১০০ টাকা হয়, তাহলে পরবর্তীতে সেই বেড চার্জ সর্বোচ্চ ১১০ টাকা বাড়াতে পারবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে সোমবার যে তিনটি অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে চিকিৎসার খরচ বেধে দেওয়ার জন্য, তা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ। সম্প্রতি, বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির তরফে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছিল, তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কোভিড পরবর্তী সময়ে চিকিৎসার খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু তারা সেই অর্থে বেড চার্জ বাড়াতে পারছেন না। এর পাশাপাশি, বেসরকারি হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রাজ্যের থেকে টাকাও বকেয়া রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা, এই জটিল অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্যই কোভিড আবহে বেড চার্জের উপর যে অ্যাডভাইজরি ছিল, তা এবার বাতিল করা হল। কিন্তু ঘুরপথে খরচ যাতে সীমিত রাখা যায়, তার জন্যও তিনটি অ্যাডভাইজরি জারি করল স্বাস্থ্য কমিশন।
আরও পড়ুন : Jadavpur University Controversy: ‘আমাদের একটাই দোষ, আমরা TMCP করি’, SFI-এর বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ সঞ্জীবের