SSC Recruitment Scam: ‘আর এক মুহূর্তও চাকরি নয়’, আজই কমিশনকে ১৬৯৮ জনের নাম, ঠিকানা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির

SSC Recruitment Scam: গাজিয়াবাদের যে সংস্থাকে এই ওএমআর শিট মূল্যায়নের ভার দেওয়া হয়েছিল, সেই নাইসা-র তথ্য খতিয়ে দেখেই এই রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই।

SSC Recruitment Scam: 'আর এক মুহূর্তও চাকরি নয়', আজই কমিশনকে ১৬৯৮ জনের নাম, ঠিকানা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতির
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2022 | 3:00 PM

কলকাতা: সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। একই প্রার্থীর ওএমআর শিটের মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর আর এসএসসি (SSC)-র তালিকায় থাকা নম্বরের মধ্যে কার্যত আকাশ-পাতাল ফারাক। বুধবারই ‘গ্রুপ ডি’ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সেই ওএমআর শিট বিকৃতির কথা উল্লেখ করেছে সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার নিয়োগ মামলায় ওএমআর বিকৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যে সব প্রার্থীদের উত্তরপত্র নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে, এদিনই বেলা তিনটের মধ্যে তাঁদের তালিকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। নাম, স্কুলের নাম, ঠিকানা আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেন, নিয়োগে দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে। আর নয়। এক মুহূর্তও আর চাকরি করবেন না ওই প্রার্থীরা। একদিনও এদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।

সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে দাবি করেছে ওএমআর শিটে নম্বর বদলে গিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, যাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৩, তিনি ওএমআর শিটে আসলে পেয়েছেন শূন্য। গাজিয়াবাদের যে সংস্থাকে এই ওএমআর শিট মূল্যায়নের ভার দেওয়া হয়েছিল, সেই নাইসা-র তথ্য খতিয়ে দেখেই এই রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান এমন প্রার্থীর সংখ্যা কত। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে ১৬৯৮। তাঁদের সম্পর্কিত তথ্য জমা দিতে বলেন বিচারপতি।

পর্ষদ তার জন্য সময় চায়, কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনও সময় দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবারই তাই নাম, ঠিকানা জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিনই হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ ডি পরীক্ষার ১০০ টি ওএমআর শিট প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।