Jaynagar: দলুয়াখাকিতে ফিরছেন ঘরছাড়ারা, ফেরাতে কেন লাগল ২ রাত? উঠছে প্রশ্ন
Jaynagar: তবে ঘরছাড়াদের সঙ্গে যে সমস্ত সিপিআইএম নেতৃত্ব ছিলেন তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। তা নিয়ে এদিন প্রায় মিনিট পনেরো ধরে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বাম কর্মীদের। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরিস্থিতিও তৈরি হয় বলে খবর।
দলুয়াখাকি: জয়নগররের ঘটনার ২ রাত পর অবশেষে বাড়ি ফিরছেন আতঙ্কিতরা। দলুয়াখাকিতে ফিরছেন ঘরছাড়ারা। কিন্তু, তাঁদের ঘরে ফেরাতে পুলিশের কেন ২ দিন সময় লেগে গেল? এই প্রশ্ন কিন্তু এড়ানো যাচ্ছে না। এলাকায় দেখতে পাওয়া গেল সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে। এদিন একের পর এক অটো করে এলাকায় ঢুকতে দেখা গেল ঘরছাড়াদের। অটোর মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে নিজেদের পাড়ায় ঢুকলেন তাঁরা। এদিকে এদিন সকাল থেকেই গোটা এলাকা কার্যত পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ।
তবে ঘরছাড়াদের সঙ্গে যে সমস্ত সিপিআইএম নেতৃত্ব ছিলেন তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। তা নিয়ে এদিন প্রায় মিনিট পনেরো ধরে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বাম কর্মীদের। পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরিস্থিতিও তৈরি হয় বলে খবর। বাম কর্মীদের দাবি, যে সব ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের সেগুলিই তাঁরা পৌঁছে দিতে চাইছিলেন। কিন্তু, পুলিশের তরফে সেই কাজে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এক বাম কর্মী বললেন, “আমাদের তো ঢুকতেই দেওয়া হল না। এরিয়া কমিটির মেম্বার, জেলা পরিষদের প্রার্থীরা এসেছিলেন কিন্তু তাও কোনও কমরেডকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমাদের পার্টির পক্ষে যতটা সম্ভব দেওয়া যায় ততটা দিয়ে আমরা ওদের সাহায্য করেছি। চাল, ডাল, মশারি, কম্বল, বাসন, এত কিছু তো ওদের পক্ষে একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা ছেড়ে দিয়ে আসব বলছিলাম। কিন্তু, আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”
গ্রামের ঢোকার মুখে এক ঘরছাড়া বলছেন, “ওনারা গেলে তো সুবিধা হতো। সঙ্গে তিনটে বাচ্চা রয়েছে। কী করে এত জিনিস নিয়ে যাব বুঝতে পারছি না।”