Jaynagar Case: আগুনে সব শেষ, গ্রামে ফিরেও খোলা আকাশই ভরসা দলুয়াখাকির ঘরছাড়াদের

Jaynagar Case: প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই দলুয়াখাকিতে ফিরতে শুরু করেছেন ঘর ছাড়ারা। ঘটনার পর প্রায় ২ রাত কেটে গেলেও কেন তাঁদের ঘরে ফেরাতে এতটা সময় লেগে গেল পুলিশ প্রশাসনের তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও ঘরে ফিরলেও থাকবেন কোথায়? সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।

Jaynagar Case: আগুনে সব শেষ, গ্রামে ফিরেও খোলা আকাশই ভরসা দলুয়াখাকির ঘরছাড়াদের
চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2023 | 6:53 PM

দলুয়াখাকি: ঘরছাড়ারা গ্রামে ফিরলেও চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। গোটা গ্রাম বিদ্যুৎহীন। দু’দিন পরেও গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা নেই বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামে ঘর থাকলেও সেখানে বসবাস করার কোনও অবস্থাই নেই। ঘরের উপরে চাল নেই, যেদিকে চোখ যাচ্ছে সেখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে আগুনে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, জামাকাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী। বাসিন্দারা গ্রামের ফিরলেও তাঁদের বাড়িতে বসবাস করার কোনও পরিস্তিতি নেই। বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে পরিবারের ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে রাত কাটানো ছাড়া কোনও উপায় নেই।

প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই দলুয়াখাকিতে ফিরতে শুরু করেছেন ঘর ছাড়ারা। ঘটনার পর প্রায় ২ রাত কেটে গেলেও কেন তাঁদের ঘরে ফেরাতে এতটা সময় লেগে গেল পুলিশ প্রশাসনের তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও ঘরে ফিরলেও থাকবেন কোথায়? সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। 

এই গ্রামের বাসিন্দা হালিমা বিবি লস্কর। তাঁর বাড়ির অবস্থাও গ্রামের আর পাঁচটা বাড়ির মতই। হালিমা বিবির অভিযোগ, আইসিডিএস এর সুপারভাইজারের কাজ করতেন। সিপিএম পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হত না। যার নেপথ্য ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী নিহত সইফুদ্দিন লস্কর। গত সোমবার সকালে তৃণমূল কর্মীরা তাঁর বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। চালানো হয় ভাঙচুর। প্রাণ বাঁচাতে সেদিন গ্রাম ছেড়ে এক জামা কাপড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন হালিমা বিবি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

বুধবার বিকেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন ত্রাণ সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু ঘরে ঢুকে রীতিমত কান্নায় ভেঙে পড়েন হালিমা। অগ্নিদগ্ধ ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে আসবাবপত্র। ঘরের আলমারিতে ছিল অনেকে প্ৰয়োজনীয় নথি। সব কিছুই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আইসিডিএস সুপাভাইজার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকায় গ্রামের অন্যান্য মহিলাদের দৈনন্দিন কাজের হিসাব, উপস্থিতিতি সংক্রান্ত অনুক নথি ছিল ওই আলমারিতে। কিন্তু, কোনও কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। তাতেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হালিমা বিবি। পাশাপাশি আছে দুঃচিন্তা, অন্ধকারছন্ন গ্রামে রাতে আবারও হামলা হবে না তো! পুলিশ যথাযথ নিরাপত্তা দেবে তো? সবমিলিয়ে আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।