Kuntal Ghosh : থার্ড পার্সনই কি ‘নাটের গুরু’! কুন্তলের জেরায় নয়া মোড় নিচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি
Kuntal Ghosh : শনিবারই কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) গ্রেফতার করার পর আদালতে পেশ করে ইডি (ED)। সে সময় তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য যে রিমান্ড কপি ইডির তরফে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল সেখানেই কুন্তল কোন খাতে কোথা থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাঁর বিশদ বর্ণনা রয়েছে বলে খবর।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) একের পর এক পর্দাফাঁস। কুন্তল, তাপস, গোপালের পর সামনে আসছে আরও একটা নতুন নাম। ইডি (ED) সূত্রে খবর, কুন্তলকে ঘোষকে (Kuntal Ghosh) জেরা করার পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তাঁদের হাতে। সূত্রের খবর, জেরায় গোপাল দলপতি ছাড়াও আরও এক ব্যক্তির নাম নিয়েছেন কুন্তল। নিয়েছে ১০ শতাংশ কমিশন, জানতে পারা যাচ্ছে এমনটাও। কিন্তু এই তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে কুন্তলের কী সম্পর্ক কতটা গভীর তা জানতে দফায় দফায় জেরা করছেন ইডির আধিকারিকরা। কোথায় কত টাকা দেওয়া হয়েছিল তাও জেরায় জানিয়েছেন কুন্তল।
শনিবারই কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করার পর আদালতে পেশ করে ইডি। সে সময় তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য যে রিমান্ড কপি ইডির তরফে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল সেখানেই কুন্তল কোন খাতে কোথা থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাঁর বিশদ বর্ণনা রয়েছে বলে খবর। টেট থেকে শুরু করে নবম-দশম, দ্বাদশ-একাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ-ডি নিয়োগ সহ একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। তাঁকে জেরা করার সময় এ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
কোন খাতে কত টাকার লেনদেন?
সূত্রের খবর, প্রাইমারির প্রার্থীদের নিয়োগপত্র জোগাড়ে ১০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকার লেনদেন করেছে কুন্তল। ইডি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে। আপার প্রাইমারির নিয়োগ খাতে তিন কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন করেছে বলে খবর। টেট (২০১৪) খাতে ৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। তবে শুধু শিক্ষক নয়, শিক্ষাকর্মী নিয়োগেও বড় টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগেও বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে কুন্তলের বিরুদ্ধে।
সহজ কথায়, যে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তার মাত্র ১০ শতাংশ কমিশন হিসাবে নিতেন কুন্তল। বাকি মোটা টাকা যেত তৃতীয় ব্যক্তির কাছে। এমনটাই কুন্তল দাবি করেছেন ইডির তদন্তকারীদের কাছে। সূত্রের খবর, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের সময়সীমার মধ্যে চলে এই লেনদেন। এই তৃতীয় ব্যক্তি কে? ইনি কি তবে প্রভাবশালী? হাত রয়েছে উপর মহলে? এই সমস্ত প্রশ্নগুলিও জোরালো হচ্ছে। গতকাল আদালতে পেশ করার পর বিচারক কুন্তলের ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন দেখার আগামী ১৪ দিনের জেরায় নতুন কী তথ্য কুন্তলের থেকে আদায় করতে পারেন তদন্তকারীরা।