Kolkata Rain: এক রাতের বৃষ্টিতেই ভেসে যায় কলকাতা! মুক্তির পথও রয়েছে, বলছেন নগরায়ন বিশেষজ্ঞরা

Weather Update: নগরায়ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিপদ কাটাতে প্রথমেই যে কাজগুলি দ্রুত করা যায় তা সেরে একটু স্বস্তির পথ খোঁজা দরকার।

Kolkata Rain: এক রাতের বৃষ্টিতেই ভেসে যায় কলকাতা! মুক্তির পথও রয়েছে, বলছেন নগরায়ন বিশেষজ্ঞরা
জল যন্ত্রণা থেকে কোন পথে মিলবে মুক্তি, বলছেন নগরায়ন বিশেষজ্ঞরা। ছবি পিটিআই।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 8:01 PM

কলকাতা: নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণাবর্ত, আকাশ কালো করে আসা মানেই প্রমাদ গোনা শুরু। আবারও প্রবল জলযন্ত্রণার (Kolkata Rain) দিন দরজায় কড়া নাড়ল বলে। বছরের পর বছর এক ছবি। বৃষ্টি হলে মুহূর্তে জমে যায় জল (Monsoon in Bengal)। অথচ সেই জল নামার অপেক্ষা করতে করতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় শহরবাসীর। নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দেয় সবাই। কিন্তু লাভের গুড় যে কে খেয়ে চলে যায় তার হিসাব কেউই দিতে পারে না। প্রশ্ন উঠছে, এই সমস্যা কি ভৌগলিক নাকি স্রেফ গাফিলতি।

বর্ষা আসে, বর্ষা যায়। কিন্তু জমা জলের নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে না কলকাতার মানুষের। রাতভর ঝমঝমে বৃষ্টি মানেই কোথাও গোড়ালি ডোবা আবার কোথাও হাঁটু ছাপিয়ে জল। সেই জল নামতে নামতে দু’ দিন পার। কেন বছর ভর এই যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়?

নগরায়ন বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর সিনহার মতে, এর একটা কারণ অবশ্যই ভৌগলিক। দীপঙ্করবাবু জানান, “কলকাতার কিছু জায়গা যেমন নিচু বলা হয়। তার পাশে এমন জায়গাও রয়েছে যেটা উঁচু। এই উঁচু জায়গার জলটা যদি গালিপিট দিয়ে ঠিকমত না নামে তা হলে জলটা টপকে নিচু জায়গায় চলে আসে। কিন্তু নিচু জায়গায় চলে আসা মানে নিকাশি ব্যবস্থার উপর চাপ পড়া। তার ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত জল বের করতে গেলেও সমস্যা হয়ে যায়।”

কিন্তু ভৌগলিক সমস্যা রয়েছে বটে। সেই সমস্যাকে ইন্ধন দেয় এ শহরের নিকাশি পরিকাঠামোও। বৃষ্টির জমা জল গঙ্গায় বেরোনোর জন্য কলকাতায় সাতটি লকগেট রয়েছে। জোয়ারের সময় এগুলি বন্ধ রাখতে হয়। জোয়ার-ভাটা মিলিয়ে ৪ ঘণ্টা লকগেটগুলি বন্ধ থাকে। সেই সময় যদি বৃষ্টি হয় তা হলে জল জমা অবশ্যম্ভাবী। শহরের জমা জল বের হয় ১০-১২টি খাল দিয়ে। যার ৮০ শতাংশই বেহাল। পলি পড়ে খালগুলি মজে গিয়েছে। নিয়মিত ড্রেজিং না হওয়ায় খালের জলস্তর বেশি থাকে। ফলে পাম্পিং স্টেশনের জল বের হতে পারে না। আবার কলকাতার পাঁচটি পাম্পিং স্টেশনের পাম্পগুলিও বেশ পুরনো। ফলে কর্মক্ষমতা কমেছে তাদেরও। অতি বৃষ্টিতে যে পরিমাণ জল জমে, তা পাম্প করে বের করাও বেশ কঠিন।

শহরের বেশির ভাগ রাস্তার গালিপিটের মুখ প্লাস্টিক পড়ে বন্ধ। ফলে গালিপিট দিয়ে জল বেরোতে পারে না। KEIIP-এর অধীনে যাদবপুর-বেহালায় ২০০০ কোটির নিকাশি পরিকাঠামোর কাজ চলছে। ২০২০ সালে তা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে বেহালা-যাদবপুর যেন একটু বেশিই বেহাল।

নগরায়ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিপদ কাটাতে প্রথমেই যে কাজগুলি দ্রুত করা যায় তা সেরে একটু স্বস্তির পথ খোঁজা দরকার। তার পর ধাপে ধাপে পরবর্তী কাজে লক্ষ্য স্থির করা দরকার। রাতারাতি সবটা পাল্টে যাবে এমন নয়। তবে একটা বছর কষ্ট হলেও পরের বছরগুলোতে তো স্বস্তি মিলতেই পারে।

আরও পড়ুন: Kolkata Metro: পুজোর মুখে আরও বাড়ছে মেট্রো, তবে কি অক্টোবরেই লোকাল ট্রেনও চালু?

আরও পড়ুন: MP Sougata Roy: তৃণমূল সাংসদের বাড়ির সামনে হাঁটু জল, লুঙ্গি পরে জল ঠেলে ঘুরলেন পাড়ায়