জল থইথই কলকাতা। রবিবার রাত থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে। বিভিন্ন জায়গায় হাঁটু সমান জল জমে। হাওয়া অফিস শুনিয়েছে, সোমবার আরও দুর্ভোগ রয়েছে শহরবাসীর কপালে। জলযন্ত্রণায় নাকাল হতে হবে মঙ্গলবারও।
লেক গার্ডেন্সে বাড়ি সাংসদ সৌগত রায়ের। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়ির সামনে এক হাঁটু জল। এদিন জল দেখে রাস্তায় নামে সাংসদ নিজেই। পরণে সাদা ফতুয়া, লুঙ্গি।
হাঁটুর উপরে সেই লুঙ্গি গুটিয়ে বেঁধে ঘুরলেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা। জানালেন, 'সকাল থেকে বৃষ্টি। আমি উঠে দেখলাম বাড়ির সামনে হাঁটু জল। আমার দুই তিনটে অনুষ্ঠান ছিল। সব বাতিল করলাম। খড়দহে যাওয়ার ছিল। সেটাও হল না। রাস্তায় গাড়ি আটকে গেলে আর চলবে না।'
সোমবার দুপুরে দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ পশ্চিমের দিকে সরে যাচ্ছে। যার ফলে কলকাতা-সহ পূর্বের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। তবে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই জেলাগুলির দু’ এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে মঙ্গলবারও।
সোমবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস শুনিয়েছেন মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার দু’ এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জল থই থই। ঠনঠনিয়া, ক্যামাক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কৈখালি এলাকা জলমগ্ন।
অবিরাম বর্ষণে ভেঙেছে বাড়ির একাংশ। বাড়ির মধ্যে আটকে থাকা ছ’টি পরিবারকে তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করেন বিধাননগর পুরনিগমের কর্মীরা। বাগুইআটি পূর্ব নারায়ণতলা এলাকার ঘটনা। বৃষ্টিপাতের জেরে ব্যহত হয় রেল পরিষেবা। ব্যহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও।