Online Education: ইন্টারনেট নেই! একটা ফোনেই উত্তর দেবেন শিক্ষক, নয়া উদ্যোগ রাজ্যে

Online Education: করোনা পরিস্থিতিতে বারবার বন্ধ হচ্ছে স্কুল। বঞ্চিত হচ্ছে একটা বড় অংশের পড়ুয়া। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ উচ্চ মাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদের।

Online Education: ইন্টারনেট নেই! একটা ফোনেই উত্তর দেবেন শিক্ষক, নয়া উদ্যোগ রাজ্যে
বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে শিক্ষা খাতে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2022 | 4:27 PM

কলকাতা : অতিমারির কালে বেশ কিছু নতুন শব্দবন্ধ আর নতুন অভ্যাসের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে শিখেছে মানুষ। আর তার মধ্যে অন্যতম অনলাইন ক্লাস বা ডিজিটাল এডুকেশন। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে, ইন্টারনেটেই চলছে পড়াশোনা। তবে সত্যিই কি সবাই সেই পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে পারছে? সবার কাছে কি রয়েছে ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন ব্যবহার করার সুযোগ? এই প্রশ্নগুলো যখন বারবার বিভিন্ন মহল থেকে সামনে এসেছে, তখন পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল রাজ্যে। ফোনেই পড়ুয়াদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা করল উচ্চ মাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদ।

‘শিক্ষা দূরভাষ’

ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতেই এই উদ্যোগ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। এই প্রথমবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এই নতুন পদ্ধতিতে পড়াশোনা করার সুযোগ দিচ্ছে সংসদ। ফোন করে আইভিআরএস বা ইন্টাব়্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স সিস্টেমে সরাসরি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে প্রশ্নের উত্তর পেতে পারবে পড়ুয়ারা। সব বিষয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাদেরই পাওয়া যাবে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে এই বাংলার এই ‘শিক্ষা দূরভাষ।’

কী ভাবে ব্যবহার করা যাবে এই পদ্ধতি?

উচ্চ মাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আইভিআরএস পদ্ধতিতে ফোন করে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাস্য় রয়েছে, তা বেছে নিতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মোবাইল বা ল্যান্ডফোন মোটামুটি ভাবে প্রত্যেকের কাছেই থাকে। তাই এই পদ্ধতিতে বহু পড়ুয়া উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি। প্রত্যক বিষয়ে অন্তত ৩০-৪০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা থাকবেন উত্তর দেওয়ার জন্য়। কোনও কোনও বিষয়ে ৫০ জন শিক্ষককেও রাখা হয়েছে। মোট ১৮ টি বিষয়ের জন্য এই পদ্ধতি চালু হচ্ছে।

কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, তা ফোনে জানাতে হবে। এরপর নির্দিষ্টি সময়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিকা উত্তর দেবেন। আপাতত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে অনেকেই উপকৃত হবে বলে মনে করছে শিক্ষা মহল।

ডিজিটাল বৈষম্যের শিকার অনেকেই

অতিমারির শুরু থেকে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ। ২০২১-এর শেষের দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে সব খোলার সিদ্ধান্ত নেন। নভেম্বর মাসে শুরু হয় একাংশের অনলাইন ক্লাস। তবে, মাস দুয়েকের মধ্যেই করোনার নতুন ঢেউয়ের ধাক্কায় আবার বন্ধ সবকিছু। অনলাইন ক্লাসে চললেও প্রত্যন্ত এলাকায় কতটা ইন্টারনেট পৌঁছেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শুধু এ রাজ্যে নয়, গোটা দেশে বহু পড়ুয়াই প্রথাগত পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিশু শ্রমিক হয়েও কাজও করছে কেউ কেউ। ফলে, কোভিড পরিস্থিতিতে আদৌ কতটা এগোচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

কী ভবিষ্যৎ উচ্চ মাধ্যমিকের?

গত বছর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বছর কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, তারা চাইছে, পরীক্ষা হোক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি পর্ব ধাক্কা খাচ্ছে। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তিনি পরীক্ষা করাতে মরিয়া। তবে বিগত বছরগুলিতে এই সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র ছাপার জন্য চলে যায় কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি। ফলে, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন : Kunal Ghosh Tweet: কুণালের ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড’! কল্যাণের সঙ্গে তরজার পরই এমন ইঙ্গিতবাহী টুইট