AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sujan Chakraborty on TMC: ‘দেড় পয়সার কী যোগ্যতা?’ মমতাকে ছাড়া অভিষেকের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন সুজনের

Sujan Chakraborty on TMC: অভিষেক কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডায়মন্ড হারবারকে কার্যত মডেল হিসেবে প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

Sujan Chakraborty on TMC: 'দেড় পয়সার কী যোগ্যতা?' মমতাকে ছাড়া অভিষেকের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন সুজনের
তৃণমূলের দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন সুজন (অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস)
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2022 | 7:48 PM
Share

কলকাতা : অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মত’ আর ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’। তাকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। কেউ বলছেন, অভিষেকের উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য, দলের সাংসদ ব্যক্তিগত মত পোষণ করতেই পারেন। আবার দলেরই কেউ বলেছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেন কী করে? গত দু-একদিনে এই ইস্যুতে ঘাসফুলের অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। মমতা আর অভিষেকের ক্ষমতার লড়াই? নাকি মত বিরোধ? এ সব প্রশ্ন যখন সামনে আসছে, তখন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, মমতাকে ছাড়া অভিষেকের অস্তিত্বই নেই। তাই ফাটলের প্রশ্নও আসে না।

পিসিকে ছাড়া ভাইপোর অস্তিত্ব কী?

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে একটা বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে, পিসি ভাইপোর ফাটল কি বাড়ছে? আমি বলব, ভাইপো তো পিসির অঙ্গ, পিসি ছাড়া ভাইপোর অস্তিত্ব কী? দেড় পয়সার কে খোঁজ রাখে? কে জানে? কী যোগ্যতা?’ মমতাকে ছাড়া অভিষেকের যে আলাদা কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই, সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন সুজন।

তাঁর মতে, এটা নেহাত ক্ষমতার লড়াই ছাড়া আর কিছুই নয়। সুজন বলেন, ‘কার কত ক্ষমতা, কে কত বেশি তোলাবাজি করবে, তৃণমূলের অন্দরে এই লড়াই চলছে।’ নীচের তলাতেই শুধু নয়, দলের ওপরেও তার প্রতিফলন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

পরশু হয়ত ভাইপোর অনুগত হয়ে যাবে কল্যাণ

সম্প্রতি তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের ব্যক্তিগত মত প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে না।’ শুধু তাই নয়, কল্যাণের মতে, এটা মমতার সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করা। দলের সাংসদের মুখে অভিষেক সম্পর্কে এমন মন্তব্য ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই। প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন কুণাল ঘোষ সহ অনেকেই।

এই প্রসঙ্গে, সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল পিসি-ভাইপোর পার্টি। পিসির কথা ছাড়া পাতাও নড়ে না। তাঁর ছবি নিয়েই অভিষেক,  তাঁর ছবি নিয়েই কল্যাণ, তাঁর ছবি নিয়েই কুণাল।’ তাঁর কথায়, ‘আজ কল্যাণ অভিষেকের বিরোধিতা করছে, পরশু যখন ক্ষমতার রুটির টুকরো ছুড়ে দেওয়া হবে, তখন ভাইপোর অনুগত হয়ে যাবে।’ তাঁর মতে, এ সবে আদতে মানুষের কোনও লাভ হচ্ছে না। মানুষের জীবন- জীবিকা সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।

কেন বিতর্ক?

গত সপ্তাহে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় একটি প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “এখন মেলা, খেলা, ভোট সব বন্ধ রাখা উচিত। দু’‌মাস সব বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলে আমরা বাঁচব। এটা নাকি তাঁর ব্যক্তিগত মত। একদিকে যখন বিরোধীদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল ভোট করার পক্ষে, তখন অভিষেকের এমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবে নতুন জল্পনা তৈরি করে। পাশাপাশি, শুধু ডায়মন্ড হারবারের জন্য কোভিড নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক। একদিনে ৫৩ হাজার কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থাও করেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে সেখানেও, কেন শুধু ডায়মন্ড হারবার? কেন রাজ্যের সর্বর্ত্র নয়?

আরও পড়ুন : Tathagata Roy : তৃণমূলের ‘ট্রয়ের ঘোড়া’ চিনতে না পারার ফল সবার দেখা, বঙ্গ বিজেপিকে খোঁচা তথাগতর