Kunal Ghosh: “দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি”, অধীর-খোঁচা জোরালো জবাব কুণালের

Kunal Ghosh slams Adhir Ranjan Chowdhury: অধীরকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, "অধীরবাবু নিজের চড়কায় তেল দিন।" সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, "লরির পিছনে লেখা থাকে... দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।"

Kunal Ghosh: দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি, অধীর-খোঁচা জোরালো জবাব কুণালের
অধীরকে আক্রমণ কুণালের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2022 | 5:03 PM

কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে এখন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) মন্তব্য ঘিরে নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) কল্যাণের এ হেন মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ইন্ধনে’র তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। অধীরকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “অধীরবাবু নিজের চড়কায় তেল দিন।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “লরির পিছনে লেখা থাকে… দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।” অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, যেভাবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দাগছেন, তা তাঁর একার দ্বারা কীভাবে সম্ভব?

অধীরকে কী বললনে কুণাল?

সেই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, আজ যে ‘ভাইপো’র বিরুদ্ধে কথা হচ্ছে তা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে হচ্ছে? তৃণমূল সুপ্রিমো কি বিষয়টি নিয়ে অবগত নন? প্রদেশ সভাপতির এই ধরনের মন্তব্য আসার পরই সেই বিতর্ককে চাপা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা দেখা গেল তৃণমূল শিবিরে। কুণাল ঘোষ সাফ বলেন, ” অধীর চৌধুরী নিজের চড়কায় তেল দিন। ওনার বিরুদ্ধে ওনার দল থেকে কতজন কতবার বিবৃতি দিয়েছে এবং কতজন কতবার দল ছেড়েছে, সেগুলি দেখুন। দ্বিতীয়ত, যে সভাপতির জমানায় কংগ্রেসের মতো দলকে শূন্যে নেমে আসতে হয় বিধানসভায় এবং ভোট শতাংশের দিক থেকে ক্রমশ তা লুপ্তপ্রায় শ্রেণির দিকে যায়… আমার মনে হয়, তাঁর নিজের কাজ, নিজের দল সেদিকে মনোনিবেশ করলে ভাল।” অধীর বাবুর প্রতি আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “লরির পিছনে লেখা থাকে… দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।” পাশের বাড়ির দিকে না তাকিয়ে নিজের ঘর সামলানোর জন্যও অধীর চৌধুরীকে পরামর্শ দেন তিনি।

চ্য়াপ্টার ক্লোজড, বললেন কুণাল

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “যে বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে তা নিয়ে চ্যাপ্টার ক্লোজড। সুজন বাবুর দল শূন্যে পরিণত হয়েছে। ওনার মত লোকেরা সেটাকেই আরও মহাশূন্যে নিয়ে যাচ্ছে । নিজের দল নিয়ে ভাবা উচিত।”

উত্তর দিনাজপুরে দলত্যাগীতে নেতা অমল আচার্যকে তৃণমূলে ফেরানো নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের মধ্যেই মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। সেই প্রসঙ্গও শুক্রবার প্রশ্ন করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টিকিট না পেয়ে যাঁরা গিয়েছিলেন , তাঁরা অন্যায় করেছিলেন। বাংলার মানুষ তাঁদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। কাউকে ফেরানো হবে কি না, সেটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিষয়। কারা ফিরবেন, সেটা শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে।”

আরও পড়ুন : Tathagata Roy : তৃণমূলের ‘ট্রয়ের ঘোড়া’ চিনতে না পারার ফল সবার দেখা, বঙ্গ বিজেপিকে খোঁচা তথাগতর