AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Biman Bose : পঞ্চায়েতে বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চাইলে আমাদের দলে থাকার দরকার নেই : বিমান

Biman Bose : প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থেকে মহিষাদল একাধিক সমবায় সমিতিতে জোট করে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গিয়েছিল সিপিএম-বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের। যা নিয়ে চাপে পড়েছিল আলিমুদ্দিন।

Biman Bose : পঞ্চায়েতে বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চাইলে আমাদের দলে থাকার দরকার নেই : বিমান
বিমান বসু।
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2023 | 8:29 AM
Share

কলকাতা : ছবিটা সামনে এসেছিল প্রথম ২০১৮ সালে। খাতায়-কলমে না হলেও তৃণমূল স্তরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ‘বোঝাপড়া’ করতে দেখা গিয়েছিল বাম-বিজেপিকে (CPIM-BJP)। সাম্প্রতিককালে একই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে রাজ্যের একাধিক সমবায় সমিতির নির্বাচনে। তবে কী তাঁর ছাপ পড়বে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে? প্রশ্ন শুনে তো খানিক রেগেই গেলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose)। টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বললেন, “যারা এটা করেছে তারা রাজনীতির র বোঝে না। আমরা কখনও এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি সমর্থন করি না। পছন্দ করি না। যারা এরকম কাজ করতে চায় তারা যেন আমাদের পার্টিতে না থেকে অন্য পার্টিতে চলে যায়। সেটাই ভাল।”

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থেকে মহিষাদল একাধিক সমবায় সমিতিতে জোট করে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গিয়েছিল সিপিএম-বিজেপিকে। নন্দকুমারে বড় জয় এলেও বাকি জায়গাগুলিতে ধরাশায়ী হয় বাম-বিজেপি জোট। এদিকে এই জোটের খবর নিয়ে চাপানউতর শুরু হতেই অস্বস্তি বাড়তে থাকে বামেদের। চাপে পড়ে বিজেপিও। জোটে নীচুতলার সিপিএম কর্মীরা এগিয়ে এলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় শীর্ষ নেতৃত্ব। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় এই ধরনের বোঝাপড়া কখনও সমর্থন করা হবে না। এদিন একই সুর শোনা গেল বিমানের গলাতেও।  

স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “বিজেপি চরম দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল দল। এই কথাটা যারা বুঝবে না তাদের আমাদের সঙ্গে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। তৃণমূল কংগ্রেস সুবিধাবাদী দক্ষিণপন্থী দল। যারা এটা বুঝবে না, তাদেরও আমাদের সঙ্গে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা রাজনৈতিক আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে ঘোরাফেরা করতে পারব না।” অন্যদিকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে একাধিক জায়দায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। সিপিএমের দাবি ছিল বলপূর্বক তাঁদের প্রার্থী দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও যদিও সেই ছবি ফেরে তাহলে কোন স্ট্র্যাটেজি নেবে আলিমুদ্দিন? উত্তর দিতে গিয়ে বিমান ফিরে চললেন স্মৃতির পাতায়। বললেন, “১৯৭২ সালে আমাদের অনেক জায়গায় প্রার্থী দিতে অসুবিধা হয়েছিল। প্রচার করতেও অসুবিধা হয়েছিল। তারপর আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অগ্রসর হয়েছি। এবার জান কবুল করে যে সমস্ত এলাকায় আমাদের কাজ আছে, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সেখানে আমরা মানুষের ঐক্য গড়ে তুলব। তৃণমূল বিজেপিকে ঠেকাতে প্রার্থী দেব।”