Bengal Municipal Election 2022: দমদমে জ্বলজ্বল করছে ঘাসফুলের প্রতীক, অথচ লেখা নেই প্রার্থীর নাম! এ কেমন প্রচার?
South Dumdum: এখানেই শেষ নয়, দেওয়ালের যেটুকু জায়গা ফাঁকা রয়েছে সেখানে তৃণমূলের প্রতীক থাকলেও লেখা নেই প্রার্থীর নাম।
দমদম: গোটা দেওয়াল জুড়ে পড়েছে পোস্টার, হোডিং। এক টুকরো জায়গাও বাদ নেই। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই পোস্টার। এতক্ষণ পড়ে ভাবছেন হয়ত কোনও চেনা পরিচিত রাজনৈতিক দলের পোস্টারের কথা বলা হচ্ছে। আদতে কিন্তু নাহ! চারিদিকে রয়েছে নির্দল প্রার্থীর পোস্টার,ব্যানার। কোথাও লেখা ‘টাকার অভাবে ছেলেটা পড়তে পারছে না? চিন্তা কী? কাছের মানুষ ফুচুকে ভোট দিন।’ কোথাও আবার লেখা করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে খাবার নেই ফুচুকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’ এখানেই শেষ নয়, দেওয়ালের যেটুকু জায়গা ফাঁকা রয়েছে সেখানে তৃণমূলের প্রতীক থাকলেও লেখা নেই প্রার্থীর নাম।
আজব এই চিত্র দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের। সেখানার ব্রাত্য বসু ঘনিষ্ঠ দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূলের নেতা দেবাশীস বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি ওই ওয়ার্ড থেকে টিকিট পাননি পুরভোটে লড়ার। দুটি তালিকার কোনওটিতেই নেই দেবাশীসবাবুর নাম। তাঁর বদলে টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁরই এক সহযোগী অজয় মুখোপাধ্যায়কে। এরপর সেই চেনা ছবি। দেবাশীসবাবু পুরভোটে দাঁড়ালেন নির্দল হয়ে। আর তারপর থেকেই লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন নির্দল হয়ে। হাতে গোনা কিছু জায়গায় লেখা রয়েছে তৃণমূলের দেওয়াল। যদিও, সেখানে শুধু প্রতীক রয়েছে। প্রার্থীর নাম নেই। বাদ বাকী সব জায়গায় রয়েছে উদীয়মান সূর্যের প্রতীক।
কয়েকদিন আগেই ঘাসফুল শিবির থেকে ঘোষণা করা হয় টিকিট না পেয়ে যে সকল প্রার্থী নির্দলে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আর এই ঘোষণা করেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যে জেলায়-জেলায় অনেককেই বহিষ্কার করার খবরও মিলেছে। তবে, দক্ষিণ দমদমের ৯ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই দু’টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। সেক্ষেত্রে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁরা পড়তে চলছেন এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে দেবাশীসবাবু ও অজয়বাবুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেননি।
প্রসঙ্গত, পুরভোটের টিকিট নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর লাগাতার ক্ষোভের মুখে পড়েছে শাসকদল। পথে নেমে বিক্ষোভ করতেও দেখা গিয়েছিল বিক্ষুব্ধদের। শাসকের ঘরের আগুন নেমে এসছিল রাস্তায়। দলের উপর রাগ করে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন জমা দেয় নির্দলে। ফলে নির্দল কাঁটায় বিঁধে শাসকদল। এই অবস্থায় খোদ তৃণমূলের মত যে, পুরভোটের ফলাফলে বিরোধীদের থেকেও জোর টক্কর দিতে পারে নির্দল। তাই উপরমহল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার কথাও বলা হয়। কিন্তু কেউ-কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও অনেকেই করেননি। ফলত ক্ষুব্ধ দল থেকে বহিষ্কার করা হয় অনেককে। কাউকে আবার বহিষ্কার করা তো দূর শাস্তিটুকু দেওয়া হয়নি।