Deepfake: বিনিয়োগের আগে রতন টাটা, নারায়ণ মূর্তিরও ভিডিয়ো যাচাই করুন, না-হলে ঠকবেন
Deepfake: রতন টাটারও একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ঘিরে এরকম তোলপাড় হয়েছিল। যেখানে বিনিয়োগ ও ১০০ শতাংশ লাভের আশ্বাস দিতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। পরে রতন টাটা নিজে এক্সহ্যান্ডেলে এটি ভুয়ো বলে সতর্ক করেছিলেন। সাইবার প্রতারণার ক্ষেত্রে ডিপফেক অস্ত্র অনেক বেশি ধারাল।
কলকাতা: একটা সময় ফোটোশপের কারিগরিতে ছবি বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠত ভূরি ভূরি। সময় বদলাচ্ছে, বাজারে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের (AI) রমরমা। আর সেই এআইকে কাজে লাগিয়ে ডিপফেক ‘ট্রেন্ডিং’ শব্দ। এক শরীরে বসছে অন্য মুখ। সে মুখ অবিকল আসল মুখের মতোই। খুব খতিয়ে না দেখলে বোঝার জো নেই। সাইবার দুনিয়ায় ওৎ পেতে রয়েছে ডিপফেকের ফাঁদ। কখন যে কে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়বেন, কেউ জানেন না।
প্রথমে শিল্পী-তারকাদের ডিপফেকের রমরমা দেখা গিয়েছে। ধীরে ধীরে সেই ফাঁদের শিকার হয়েছেন দেশের তাবড় শিল্পপতিরা। স্ক্যামারদের টার্গেট, সেই শিল্পপতিদের মুখ কাজে লাগিয়ে অর্থ হাতানো। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ডিসক্লেমার দিচ্ছেন শিল্পপতিরা।
ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এনআর নারায়ণ মূর্তি থেকে রতন টাটা, ডিপফেকের শিকার সকলেই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে একটি ট্রেন্ডিং অ্যাপে টাকা বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ভিডিয়ো ছড়ানোর পর ইনফোসিস কর্তা নিজে এক্সহ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ভিডিয়োগুলি ভুয়ো, ডিপফেক।
রতন টাটারও একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ঘিরে এরকম তোলপাড় হয়েছিল। যেখানে বিনিয়োগ ও ১০০ শতাংশ লাভের আশ্বাস দিতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। পরে রতন টাটা নিজে এক্সহ্যান্ডেলে এটি ভুয়ো বলে সতর্ক করেছিলেন। সাইবার প্রতারণার ক্ষেত্রে ডিপফেক অস্ত্র অনেক বেশি ধারাল। এতটাই প্রযুক্তিগত আধুনিক অস্ত্র এটি, বড় বড় সাইবার বিশেষজ্ঞরাও প্রথমে ধোঁকা খেয়ে যান।
এ বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা হাইপ্রোফাইল মানুষকে সামনে রেখে কোনও ভিডিয়ো এলে সহজেই সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করা যায়। আস্থা অর্জন অনেক সহজ হয়। আর এটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। অনেকে তো আর্থিক বিনিয়োগও করে ফেলছেন। আমরা বলব কারও মুখের কথায় কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিয়ো দেখে একেবারেই বিনিয়োগ করতে যাবেন না।”