Jadavpur University: অর্থাভাবে বেসামাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, পড়াশোনা চালানোই কার্যত দুরূহ

Jadavpur University: যাদবপুরের মতই একই অবস্থা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েরও। ছাত্র সংসদ কোনও দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, শোনানো হচ্ছে অর্থাভাবের কথা।

Jadavpur University: অর্থাভাবে বেসামাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, পড়াশোনা চালানোই কার্যত দুরূহ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2022 | 4:38 PM

কলকাতা: চরম সঙ্কটের মুখে শিক্ষাক্ষেত্র। আর্থিক অনটনের ধাক্কায় বেসামাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। বিপাকে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাভাবে কার্যত অচলাবস্থার দিকে এগোচ্ছে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। হাত পড়ছে জমানো টাকায়। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে এবার অর্থ সঙ্কটের ধাক্কা। আর্থিক অনটনে ধুঁকছে রাজ্যের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। টাকা না থাকায় সমস্যায় পড়েছে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ইতিমধ্যেই ওভারড্রাফটের দিকে যাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একাধিক দেওয়াল ভেঙে গেলেও মেরামতের টাকা নেই বলে জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এই মুহূর্তে প্রায় ৪৫-৫০ কোটি টাকা বছরে খরচ আছে। সেখানে রাজ্য সরকার এখন মেরেকেটে ২০ কোটি টাকা দিচ্ছে। ৩০ কোটি টাকার ঘাটতি। এরকম চলতে থাকলে আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হবে। পড়াশোনা করানোটাই দুরূহ হয়ে উঠবে।”

যাদবপুরের মতই একই অবস্থা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েরও। ছাত্র সংসদ কোনও দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, শোনানো হচ্ছে অর্থাভাবের কথা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন অর্থাভাব?

কোভিডকালে বিপুল খরচ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ বাড়লেও, বাড়েনি আয়

আটকে রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের টাকা

আসেনি কেন্দ্রীয় প্রকল্প RUSA-র পুরো টাকা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সঙ্কট এতটাই গুরুতর, যে কোর কমিটির বৈঠকেও এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কেনই বা হঠাত্‍ করে এই অর্থ সঙ্কট? কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পুরো টাকা না আসার জন্যই এই দুর্দশা, বলে দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিডকালে আমরা ছাত্রছাত্রীদের থেকে কোনও টাকাপয়সা নিইনি। কনসালটেন্সি থেকে যে আয় হত, সেটাও বন্ধ হয়ে যায়।”

ইতিমধ্যেই এই চরম অর্থ সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তরফে। তবে চিঠিতে লাভের লাভ কিছু হয়নি বলে সূত্রের খবর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা কিছুটা সাহায্য করলেও, তা যে যথেষ্ট নয়, তা সকলেরই জানা। এই অবস্থায় কী হবে রাজ্যের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির? আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শিক্ষামহল।