Mamata in Kalighat : দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির, কালীঘাটে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা মমতার
Mamata Banerjee : এদিন কালীঘাটে স্কাইওয়াক থেকে দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দির তৈরি নিয়েও বড় ঘোষণা করতে দেখা যায় মুখ্যণন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিকে নববর্ষের শুভক্ষণে মমতার এই নয়া ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
কলকাতা : রাত পোহালেই নববর্ষ। এবার তার আগেই বৃহস্পতিবার চৈত্র সংক্রান্তিতে রাজ্যের মানুষের মঙ্গল কামনায় কালীঘাটে পুজো দিতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। সঙ্গে রাজ্যের মানুষের শুভকামনায় করলেন প্রার্থনাও। তবে তারই সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কালীঘাটে স্কাইওয়াক(Skywalk at Kalighat) থেকে দিঘায় নতুন জগন্নাথ মন্দির (New Jagannath Temple in Digha) তৈরি নিয়েও বড় ঘোষণা করতে দেখা যায় মমতাকে। এদিকে নববর্ষের শুভক্ষণে মমতার এই নয়া ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। একইসঙ্গে এদিন কালীঘাটে দাঁড়িয়ে সর্ব ধর্ম সমন্বেয়ের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে গোটা রাজ্যব্যাপী একাধিক বিখ্যাত মন্দিরের উন্নয়নে রাজ্য সরকার কীভাবে কাজ করছে সেই খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আপনারা জানেন আমরা যেভাবে তারাপীঠ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড করে তারাপীঠে সামগ্রিক উন্নতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। রাস্তা চওড়া করা থেকে শুরু করে আরও একাধিক জিনিসের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরেও স্কাইওয়াক করে দেওয়া হয়েছে। অনুকূল ঠাকুরের ওখানেও জমি দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরও করে দেওয়া হয়েছে। জলাপাইগুড়িতে দুর্গেশ মন্দির করে দেওয়া হয়েছে। কুচবিহারে শিবযজ্ঞ মন্দির করে দেওয়া হয়েছে।’
এখানেই না থেমে দিঘা নিয়েও বড় ঘোষণা করতে দেখা য়ায় মমতাকে। কালীঘাট থেকেই মমতা জানান, ‘জগন্নাথ মন্দির নতুন করে তৈরি হচ্ছে দিঘাতে। কালীঘাটেও ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে স্কাইওয়াক তৈরি করা হচ্ছে। গোটা আদল বদলে ফেলা হবে। হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। তাদের জন্য হাজরা পার্কের ভিতরে বেশ কিছু স্টল বানানো হয়েছে। আপাতত তারা সেখানেই কাজ করবে। কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের সবাইকেই ফিরিয়ে আনা হবে। দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকে যেরকম স্টল করে দেওয়া হয়েছে কালীঘাটেও এরকমই করা হবে।’
এদিন কালীঘাট থেকে ফের নতুন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরও বার্তা দিতে দেখা যায় মমতাকে। এদিন কালীঘাটে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু আজকে নয়, প্রতিবছরই দীর্ঘদিন ধরে পয়লা বৈশাখের আগের দিন কালীঘাটে আসি। মায়ের কাছে বাংলার সকল মা-মাটি-মানুষের জন্য শুভকামনা জানিয়ে যাই। শান্তি প্রার্থনা করে যাই। সংহতি প্রার্থনা করে যাই। শুভ আনন্দে জাগো। সবাই ভাল থাকুক। একথা বলতেই মায়ের কাছে আসি। এটা আমার চিরকালের প্রোগ্রাম। এবং যতদিন বাঁচব ততদিন করব। এমনকি ঈদের সময় আমি রেড রোডের নামাজেও যাই আপনারা জানেন। বড়দিনের সময়েও আমি চার্চে যাই। আমি গুরু গোবিন্দ সিংয়ের প্রোগ্রামে গুরুদ্বারেও কখনও কখনও যাই। বিভিন্ন প্রোগ্রামে যাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছে। গঙ্গাসাগরেও যাই। কাজেই এই কাজগুলি আমাদের ধর্ম-সংস্কৃতি এগুলির মধ্যেই পড়ে। রাজনীতির যেমন অন্যতম কাজই হচ্ছে মানুষের সেবা করা, আবার রাজনীতির বাইরেও তো আমি একটা মানুষ। আমার একটা মানবিক ধর্ম রয়েছে। মায়ের কাছে আসি প্রার্থনা জানানোর জন্য যাতে মানবিকতা ভাল থাকে। যাতে শুভবুদ্ধির উদয় হয় সকলের। সবাই ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন।’
আরও পড়ুন : Kunal Ghosh: রাজ্য ভাল আছে, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করাটা অবাঞ্ছিত: কুণাল