Jiban Krishna Saha: ‘ঘুষের টাকা’ নিয়ে বিধায়ককে অভয় দিত খোদ পুলিশ! ফাঁস জীবনের বিস্ফোরক চ্যাট-হিস্ট্রি
Jiban Krishna Saha: চারপাশে যখন চাকরি না পাওয়া পাওনাদারদের ভিড়, তখন তিনি পুলিশের কাছে পরামর্শ নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে চ্যাটে।
কলকাতা: ওতে কী এমন আছে? বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা যখন তাঁর মোবাইল ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, তখন এমন প্রশ্ন করেছিলেন অনেকেই। আসলে যে কী আছে, সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে গোয়েন্দাদের কাছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে জল-কাদা লাগা মোবাইল থেকে বের করে আনা হয়েছে বিস্ফোরক সব তথ্য।
চাকরি প্রার্থীকে জীবন বলছেন, ‘মার্কেটে একমাত্র আমিই দিয়েছি।’ চ্যাট হিস্ট্রিতে থাকা বিধায়কের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, চাকরি বিক্রির বাজারের কথা বলা হচ্ছে, যে বাজারে অন্যতম ‘বিক্রেতা’ তিনি নিজে। শুধু তাই নয়, ‘ঘুষের টাকা’ নিয়ে নাকি বিধায়ককে ভরসা জুগিয়েছিল খোদ পুলিশও!
সিবিআই-এর হাতে যে কথোপকথন এসেছে, তাতে জীবনকৃষ্ণ বলেছেন, এই টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। চারপাশে যখন চাকরি না পাওয়া পাওনাদারদের ভিড়, তখন তিনি পুলিশের কাছে পরামর্শ নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে চ্যাটে। লোক এসে তাঁকে টাকা দিয়ে গিয়েছে, তিনি তো নিজে টাকা নিতে যাননি, তাই তাঁর ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই! এমন অভয় নাকি পুলিশই দিয়েছিল তাঁকে! গোয়েন্দাদের অনুমান নয়, এই তথ্য স্পষ্ট হয়েছে কথোপকথন থেকেই। ‘এফআইআর করে দেব…’, ‘গ্রেফতার হয়ে যাবে…’ চ্যাট হিস্ট্রিই বলে দিচ্ছে, পাওনাদারদের ভয়ও দেখাতেন বিধায়ক!
আর টাকার অঙ্ক? ১০, ১২, ১৭ কিংবা ১৮ লক্ষ। আর যাঁরা চাকরির আশায় বড়ঞার বিধায়ককে টাকা দিয়েছিলেন, সেই তালিকাটা কিন্তু শুধু মুর্শিদাবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আসানসোল (পশ্চিম বর্ধমান), সিউড়ি (বীরভূম)-এর লোকজনও টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বিধায়ককে। তিনি সে কথা নিজেই বলেছেন চাকরি প্রার্থীকে।
একজন চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে কথোপকথনেই এই সব তথ্য সামনে এসেছে। মৌখিক বয়ান নয়, জীবনের নিজের হাতে লেখা চ্যাট থেকেই এসব প্রকাশ্যে এসেছে। গোয়েন্দারা বলছেন, এই তথ্য যদি বিধায়ক অস্বীকার করেন, তাহলেই বাড়বে বিপদ। সূত্রের খবর, এমন আরও অনেক চ্যাট রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। সে সব সামনে এলে পেঁয়াজের খোসার ভিতরে থাকা আর কোন তথ্য সামনে আসবে! সেই অপেক্ষাই করছেন তদন্তকারীরা।