Doctor’s Agitation: ‘ধিক ধিক ধিক্কার’, গানে-স্লোগানে পথেই রাত কাটল ডাক্তারদের

RG kar Protest: সোমবার লালবাজার অভিযান ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পুলিশ কমিশনার বা সিপির পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। মিছিল করে সোমবার লালবাজারমুখী হলেও লালবাজারের অনেক আগেই আটকে যান তাঁরা। ফিয়ার্স লেনে ৯ ফুট উঁচু লোহার ব্যারিকেড, পুলিশে ছয়লাপ ছিল ওই চত্বর।

Doctor's Agitation: 'ধিক ধিক ধিক্কার', গানে-স্লোগানে পথেই রাত কাটল ডাক্তারদের
রাতভর ধরনায় জুনিয়র ডাক্তাররা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2024 | 6:59 AM

কলকাতা: গানে-স্লোগানে রাজপথে রাত জাগলেন চিকিৎসকরা। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে একটানা ধরনায় ডাক্তাররা। সোমবার রাতভর ধরনার পর মঙ্গলবার সকালেও রাস্তাতেই বসে তাঁরা। ব্যারিকেডের সামনে ‘হল্লা বোল’ চিকিৎসকদের। দাবি একটাই, কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলকে এসে দেখা করতে হবে তাঁদের সঙ্গে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি খুশি তাঁরা। তবে সন্দীপের গ্রেফতারি আরজি করে দুর্নীতি মামলায়। ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ-খুন মামলার কালপ্রিটদের গ্রেফতার করার দাবিতে অনড় তাঁরা। কোনওভাবেই অবস্থান প্রত্যাহার নয়, সাফ জানিয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবারই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ৩৬ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও টানা ডিউটি করেন তাঁরা। ফলে এই অবস্থান চলবে। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল। ১৬-১৭ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। লালবাজারের সামনে বসে জুনিয়র ডাক্তাররা।

সারা রাত রাস্তায় বসে থাকা এক জুনিয়র ডাক্তার স্পষ্ট বলেন, “বিনীত গোয়েল পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। প্রথমে পুলিশ প্রশাসন বলেছিল সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করে। আমরা একবারও ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করিনি, তা টপকাতেও যাইনি। কিন্তু আমাদের সেসব দিয়েই ঘিরে রাখা হয়েছে। আমরা তো ডাক্তার, অপরাধী নই।”

সোমবার লালবাজার অভিযান ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পুলিশ কমিশনার বা সিপির পদত্যাগ দাবি করেন তাঁরা। মিছিল করে সোমবার লালবাজারমুখী হলেও লালবাজারের অনেক আগেই আটকে যান তাঁরা। ফিয়ার্স লেনে ৯ ফুট উঁচু লোহার ব্যারিকেড, পুলিশে ছয়লাপ ছিল ওই চত্বর। ব্যারিকেডেই মিছিল থামিয়ে দেয় পুলিশ। এরপরই পুলিশ-ডাক্তারদের কথা কাটাকাটি শুরু। দাবি, একটাই, হয় লালবাজার যেতে দিতে হবে বা সিপিকে এসে কথা বলতে হবে।

পাল্টা পুলিশ দাবি করে, ২০ জনের তালিকা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ২০ জন যেতে চাইলে কোনও আপত্তি নেই। সকলকে একসঙ্গে যেতে দেবেন না। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকাল থেকে ২০ জনের তালিকা দিয়েছিলেন। আমরা জানতাম ২০ জনই আসবেন। এখানে এসে সম্ভবত ওনারা অন্য কিছু ঠিক করছেন।” কোনও আশ্বাসেই কাজ হয়নি। রাতভর গানে-স্লোগানে পথেই কাটান চিকিৎসকরা। সিপির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তা চলবে বলেও জানান।