Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘গোলি মারো রুলকো’, শিক্ষিকার বদলি নির্দেশ মামলায় এসএসসি-কে ভর্ৎসনা বিচারপতির

Justice Abhijit Gangopadhyay: সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি মামলা করেন এক শিক্ষিকা। তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, তিনি বাড়ির কাছে বদলির আবদেন জানিয়েছিলেন।

Justice Abhijit Gangopadhyay: 'গোলি মারো রুলকো', শিক্ষিকার বদলি নির্দেশ মামলায় এসএসসি-কে ভর্ৎসনা বিচারপতির
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 4:16 PM

কলকাতা: তিন মাস আগের বদলির নির্দেশ কার্যকর না করায় হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়ল এসএসসি। স্বাস্থ্যের কারণে এক শিক্ষিকাকে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। অভিযোগ, তারপরও নির্দেশ কার্যকর হয়নি। তার জেরে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বদলির সুপারিশপত্র দিতে হবে বুধবার বিকাল তিনটের মধ্যেই। না হলে শোকজ করা হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে। তাঁর সশরীরে এসে আদালতে জানাতে হবে, কেন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবে না? এই মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার।

সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি মামলা করেন স্নিগ্ধা দত্ত নামে এক শিক্ষিকা। তিনি বর্ধমানের বাসিন্দা, হাওড়ার একটি স্কুলে তিনি চাকরি করেন। তাঁর বক্তব্য  তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, তিনি বাড়ির কাছে বদলির আবদেন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর করছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই শিক্ষিকা আদালতে জানান, তাঁর কাছে এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাঁচ বছর চাকরি মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই অনেকের ইচ্ছামতো জায়গায় বদলি হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরে মামলাটি ওঠে। সেই মামলায় তিন মাসের মধ্যে বদলির নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেয় আদালত।

তারপরও কেটেছে তিন মাস। ফের কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। এদিনের শুনানিতে এসএসসি-র আইনজীবী সতনু পাত্র আদালতে সওয়াল করেন, পাঁচ মধ্যে বদলি হবে, এই নিয়ম কমিশনের নিয়মে কোথাও নেই। তাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘গোলি মারো রুলকো।’

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যেখানে একজন শিক্ষিকা শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শে যিনি বদলির জন্য আবেদন করছেন, তাঁর বদলির নির্দেশ কার্যকর করতে কেন নিয়মে আটকাচ্ছে?

এরপরই বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সুপারিশ পত্র দিতে হবে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটের মধ্যে। নাহলে শোকজ করা হবে চেয়ারম্যানকে।