Justice Abhijit Ganguly: ‘সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে কী হবে? কিছুই হবে না’, প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের
Recruitment Scam: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত বছর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন চন্দন মণ্ডল। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন উপেন বিশ্বাসও।
কলকাতা : বাগদার রঞ্জন তথা চন্দন মণ্ডলের (Chandan Mondal) কথা প্রথম সামনে এনেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই (CBI) কর্তা উপেন বিশ্বাস। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসেও হাজির হয়েছিলেন তিনি। পরে বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন চন্দনও। গত বছর জুলাই মাসে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন চন্দনকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করছে কি না। তারপর অনেকগুলো মাস কেটে গিয়েছে। শুক্রবার সেই চন্দনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সে কথা শুনেও খুশি হলেন না বিচারপতি। শুক্রবার চন্দন গ্রেফতার হওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে সেই প্রসঙ্গ।
অন্য একটি মামলা চলাকালীন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বিচারপতিকে জানান, চন্দন গ্রেফতার হয়েছে। সে কথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে কী হবে? কিছুই হবে না। সাত মাস চুপ করে বসে ছিলেন। এখন কী হবে?’ অর্থাৎ সিবিআই-এর এই পদক্ষেপে যে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট নন, সেটা তাঁর কথায় স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, গত বছর উপেন বিশ্বাস মুখবন্ধ খামে কিছু তথ্য তুলে দেন আদালতের কাছে। উপেন বিশ্বাসের দেওয়া সেই নোটের ওপর ভিত্তি করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে ওই নোটে।
এদিন বিচারপতির প্রতিক্রিয়ার কথা শুনে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উনিই তো তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিয়েছিলেন। এখন হতাশ। এর চেয়ে রাজ্য পুলিশই তো তদন্ত করতে পারত। মহামান্য আদালত ভেবে দেখুন পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়া কতটা ঠিক। ভবিষ্যতে ভেবে দেখতে বলব।’