Reserve Bank of India: রাতারাতি গায়েব হচ্ছে টাকা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে লাগল এ কোন ‘শনির দশা’?
Reserve Bank of India: গত সপ্তাহের শেষেও ডলারের নিরিখে টাকার দর ধরে রাখতে গিয়ে পাঁচ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচ করেছে ভারতের এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যার জেরে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়ে ৬৩৪ বিলিয়ন ডলার।
নয়াদিল্লি: বৈদেশিক ভাঁড়ারে পড়ছে টান। ডলারের নিরিখে টাকাকে ধরে রাখতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার জেরে কার্যত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ।
গত সপ্তাহের শেষেও ডলারের নিরিখে টাকার দর ধরে রাখতে গিয়ে পাঁচ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচ করেছে ভারতের এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যার জেরে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়ে ৬৩৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের সপ্তাহেও ডলারের উত্থানের জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক খরচ করতে হয়েছে ৪.১১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার জেরে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈদেশিক ভাঁড়ারে ডলারের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৬৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, এমনটাই খবর।
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার যে শুধু ডলারে ঠাসা এমনটা নয়। বিশ্বের সকল শক্তিশালী মুদ্রা। যেমন, ইউরো, পাউন্ড, জাপানি মুদ্রা ইয়েন। সবই রয়েছে এই ভাঁড়ারে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে ছিল মোট ৭০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ৬৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। অর্থাৎ, গত চার মাসে ডলারের নিরিখে টাকাকে ধরে রাখতে ভারতের খরচ হয়েছে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা সহজ করে বললেন ৭ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।
কেন ফাঁকা হয় বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার?
মূলত, ডলারের নিরিখে টাকার দাম ধরে রাখতেই এই বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার ব্যবহার করে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এছাড়াও, দেশে আমদানি বজায় রাখতেও এই ভান্ডার গুরুত্বপূর্ণ বলেই খবর। তবে আপাতত ভাঁড়ারের এই ঘাটতির কথা শুনে ‘চিন্তার কোনও বিষয় নেই’, বলেই দাবি করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই টাকায় আগামী প্রায় এক বছর গোটা দেশের পর্যাপ্ত আমদানি মেটানো যাবে বলে দাবি তাঁদের। তাছাড়াও রফতানি তো চলছেই যার জেরে ফের ভাঁড়ার পূর্ণ হবে বলেও দাবি তাঁদের।
সোনা মজুতে নজির গড়ল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
বাজারে এখন সোনার চাহিদা। আর সেই চাহিদা ভাল মতোই বোঝে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তাই গত বছরের নভেম্বর মাসে আরও ৮ টন সোনা কিনেছে তারা। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, গত নভেম্বরে গোটা বিশ্বে মোট ৬৩ টন সোনা মজুত করেছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যার মধ্যে ৮ টন সোনা কিনেছে খোদ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।