Justice Abhijit Ganguly : বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে কী মত সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Ex Justice Ashok Ganguly's Reaction On Justice Abhijit Ganguly's observation: TV9 বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পরিষ্কার বলে দিলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ কোনওভাবেই আইন বহির্ভূত নয়।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের অভিযোগ নিয়ে প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই। পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এক্তিয়ার বহির্ভূত, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, কথায় কথায় তদন্তকে প্রভাবিত করার কোনও অধিকার বিচারপতির নেই। কুণাল ঘোষের দাবি, বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। TV9 বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ কোনওভাবেই আইন বহির্ভূত নয়। তাঁর আরও বক্তব্য, “আদালতের যে পর্যবেক্ষণ বা আদেশ, তা সম্পর্কে কুণাল ঘোষ যে কথা বলেছেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়। ওঁ বলেছেন আদালত ২২৬ ধারা তদন্ত সম্পর্কে কখনই এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। এটা কিন্তু ঠিক নয়। আদালত অনেক ক্ষেত্রেই ২২৬ ধারায় বিচার করতে করতে তদন্তকারী অফিসারদের অনেক নির্দেশ দিয়েছেন। অতীতে নির্দশন রয়েছে। এটাকে আইন বহির্ভূত বলতে পারবেন না। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধী খোঁজার চেষ্টা করাও ঠিক নয়।”
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মতে, তদন্ত ঠিক মতো চলছে কিনা, তা দেখা কিংবা মনিটর করার দায়িত্ব বিচারপতির থাকে। যদি সেই তদন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে শুরু হয়। এখানে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে বিচারপতির নির্দেশে। সেখানে তদন্ত দেখার অধিকার রয়েছে বিচারপতির। তদন্তের কোনটা ঠিক পথ, কোনটা বেঠিক পথ, তা দেখার দায়িত্ব আদালতের থাকে। কেউ আদালতের পর্যবেক্ষণে খুশি নাও হতে পারে। তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্য অনভিপ্রেত বলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, শহিদ মিনারের সভায় তৃণমূল নেতা অভিষেক অভিযোগ করেন, তাঁর নাম বলার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাপ দিচ্ছে। কাকতালীয়ভাবে ঠিক তার পরদিনই কুন্তলও একই অভিযোগ জানিয়ে আলিপুর আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানায় চিঠি দেন। তার জেরে হাইকোর্টে মামলা করে ইডি। সেই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক এবং কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন। কুণালের পাল্টা জবাবে বিরোধীদের দাবি, হতাশা থেকে বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করছে তৃণমূল। এইভাবে বিচারপতিকে নজিরবিহীন আক্রমণ করা যায় কি? তাহলে কি তদন্ত ব্যহত করার চেষ্টা চলছে?
তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মন্তব্যে শোরগোল জারি রয়েছে। তবে তার মধ্যেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি স্পষ্ট করলেন, আদৌ এই বিতর্ক কতটা সঠিক।