Jyotipriya Mallick: ‘ভাল আছেন বালু’, এবার কি রাত কাটবে ED-র ডেরায়?

Jyotipriya Mallick: সূত্রের খবর, এ দিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ছুটি দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইডি হেফাজতে সময় মতো নিতে হবে ইনসুলিন, ওষুধ। দিনে চারবার করে নিতে হবে ইনসুলিন। মাসখানেক পর ফলোআপে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে।

Jyotipriya Mallick: 'ভাল আছেন বালু', এবার কি রাত কাটবে ED-র ডেরায়?
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমল্লিকImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2023 | 6:10 PM

কলকাতা: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল! সে কথা রবিবারও বলেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে মন্ত্রী নিজে দাবি করেছিলেন, হাতে জোর পাচ্ছেন না তিনি। সেই কারণে গতকালও তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়। এরপর সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ বৈঠকে বসে মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, আপাতত জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ফলত, ইডি হেফাজতে যাওয়ার সম্ভাবনা তাঁর আরও বাড়ল। কবে ইডি আধিকারিকরা তাঁকে নিয়ে যাবেন সেই বিষয়টি গোয়েন্দা আধিকারিকদের উপরই ছেড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, এ দিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ছুটি দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইডি হেফাজতে সময় মতো নিতে হবে ইনসুলিন, ওষুধ। দিনে চারবার করে নিতে হবে ইনসুলিন। মাসখানেক পর ফলোআপে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে।

প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গত শুক্রবার গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এজলাসেই চেয়ার থেকে পড়ে যান। বমি করেন। অজ্ঞানও হয়ে যান রাজ্যের মন্ত্রী। তারপর থেকেই বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সর্বক্ষণ রয়েছেন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। মস্তিষ্কের এমআরআই ও মেরুদণ্ডের পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। হাতে পায়ে কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছে। তবে এখন স্থিতিশীল আছেন বালু। যেহেতু তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। তাঁকে সাধারণ ডায়াবেটিক খাবারই দেওয়া হচ্ছে। তবে এতদিন নার্সিংহোমে থাকার জন্য ইডি তাঁকে জেরা করতে পারেনি। এবার তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত এগোতে পারবেন বলেই মনে করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।