Jyotipriya Mullick on TMC Candidate List: ‘দাবি করা অন্যায় নয়’ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলের, স্পষ্ট জানালেন জ্যোতিপ্রিয়
Municipal Elections 2022: দিন দুই আগেই নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। প্রকাশ্য জনসভায় নাম না করে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
কলকাতা: নেত্রীর নির্দেশের পরও জেলায় জেলায় শাসক দলের প্রার্থী বিক্ষোভ চলছেই। কোথাও বিক্ষোভ। কোথাও আবার দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার ঘটনা। নেত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বা তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে যে ‘সম্পর্ক’ তা দলীয় বিষয় নয় বলেই নিজেই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, প্রার্থীতালিকা নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ঘোষিত প্রার্থীতালিকাই চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু বিরোধ থামছে কই? আর এই পরিস্থিতিতে চরম আতান্তরে পড়েছেন দলের দ্বিতীয় শ্রেণির নেতারা। কী পদক্ষেপ করা উচিত, কীভাবে বিরোধের নিষ্পত্তি তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) পুরভোটের সমন্বয়কারী কমিটির অন্তর্গত। তাঁর দাবি, দলের কর্মীদের আকাঙ্ক্ষা থাকতেই পারে, তবে সকলের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
জ্য়োতিপ্রিয়র কথায়, “দাবি করা অন্যায় নয়। চেষ্টা করেছি যে সকলের কথা মাথায় রেখে সেই মতো সবটা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো। সেই মতো দল মান্যতা দিয়েছে। সেই ভাবেই প্রার্থীপদ দেওয়া হয়েছে। ৯২% মনোনয়ন দেওয়া হল। পার্থ ভৌমিক, নির্মল ঘোষরাও দায়িত্বে রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় কোনও নির্দল নেই। ক্ষোভ মিটিয়ে দিয়েছি। সবাই রাস্তায় নামছে। পুরোদমে কাজ করতে বলা হয়েছে। দলের কথা সবাইকে মান্যতা দিতে হবে। এখানে আপোষ নয়। মিষ্টি খেতে চান খাওয়াব। কিন্তু দলের কথা শুনতে হবে। নির্দল হিসাবে কেউ জমা দেবে না। আমি এই জেলাকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি৷”
কিন্তু তাতেও স্বস্তি হচ্ছে কই? দিন দুই আগেই নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। প্রকাশ্য জনসভায় নাম না করে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। এমনকী, মঙ্গলবার TV9 বাংলার বিশেষ অনুষ্ঠানে লাইভে এসেছিলেন মদন। স্পষ্ট জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান ভাঙানোর চেষ্টা করছেন অনেক নেতা। যদিও তিনি অভিষেকের পাশে রয়েছেন। তাঁর নেত্রী মমতাই। কার্যত মদনের এই খোলা মন্তব্য ভাল চোখে নিচ্ছে না দল। খোদ ফিরহাদ হাকিম কামারহাটির বিধায়ককে দলের শৃঙ্খলার কথা স্মরণ করিয়েছেন।
অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, “মদনের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও দলের কথায় সম্মতি দিয়েছে। সব প্রার্থীকে জেতাতে হবে। পরিবারতন্ত্রের কোথাও কোনও অভিযোগ নেই। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, টিকিট একজন করেই পাবে, স্বামী প্রার্থীপদ পেলে স্ত্রী পাবেন না, স্ত্রী প্রার্থীপদ পেলে স্বামী পাবেন না। সমস্ত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে। আমি দলের সৈনিক। যাঁরা জেলার দায়িত্বে আমি তাঁদের সাহায্য করব। মদন-সহ সকলেই সন্তুষ্ট। পরশু থেকেই আমরা প্রচারে নামব।”
বস্তুত, রাজ্যের সর্বত্র পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসক শিবিরের অন্দরে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। পুরসভার ভোট কার্যত মিনি বিধানসভা ভোটের মতো। তাই সকলেই প্রার্থী হতে চান। কিন্তু দলের পক্ষে সকলকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। তবে সকলে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে ভোটের ময়দানে সমন্বয়ের পথেই কাজ করেন সে আহ্বানও জানান পার্থ। অন্যদিকে, খোদ তৃণমূল নেত্রী স্পষ্টই জানিয়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির নির্ধারিত তালিকাই চূড়ান্ত। একইসঙ্গে সোমবারই ভোটকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সমন্বয়কারী নেতার নাম ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল না। তাতে বিরোধীরা অবশ্য দাবি করেন, তৃণমূল কার্যত অভিষেক-মমতা এই দুই শিবিরে বিভক্ত। যদিও সে অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা