Kanchanjunga Express Accident: ডিউটি ছিল শতাব্দীতে, ‘ফাদার্স ডে’তে মেয়ের সঙ্গে আরও একটু বেশি সময় কাটাতেই রোস্টার বদলেছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড, ফুরল সময়!
Kanchanjunga Express Accident: রবিবার ছিল ফাদার্স ডে। এই দিনটা সব সন্তানের কাছে স্পেশ্যাল। আশিস দে-র মেয়ে কলেজছাত্র। রবিবার বাবার সঙ্গে কলকাতার বাড়িতে গোটা দিনটা কাটিয়েছেন তিনি। আশিস স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে আরও একটু বেশি 'কোয়ালিটি টাইম' কাটাতে চেয়েছিলেন।
কলকাতা: হয়তো একেই বলে ভাগ্য! মৃত্যু এভাবেই হাতছানি দিয়েছিল। ফাদার্স ডে-তে মেয়ের সঙ্গে আরও একটু বেশি সময় কাটাবেন বলেই ডিউটি শিফট বদলে কাঞ্চনজঙ্ঘার ডিউটি নিয়েছিলেন। মেয়ের কাছে এসে পৌঁছালেন বটে, তবে কফিনবন্দি হয়ে। সেদিনের রাঙাপানিতে ট্রেন দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালকের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড আশিস দে-রও। কিন্তু রেল সূত্রে খবর, বছর চল্লিশের আশিস দে-র সেদিন কাঞ্চনজঙ্ঘাতে ডিউটিই ছিল না। রোস্টার অনুযায়ী, তাঁর ডিউটি ছিল শতাব্দী এক্সপ্রেসে। কিন্তু বাড়িতে একটু বেশি সময় মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলেই রোস্টার বদলেছিলেন। আর সেটাই হল ভাগ্যের পরিহাস!
রবিবার ছিল ফাদার্স ডে। এই দিনটা সব সন্তানের কাছে স্পেশ্যাল। আশিস দে-র মেয়ে কলেজছাত্র। রবিবার বাবার সঙ্গে কলকাতার বাড়িতে গোটা দিনটা কাটিয়েছেন তিনি। আশিস স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে আরও একটু বেশি ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটাতে চেয়েছিলেন। সোমবার শতাব্দী এক্সপ্রেসে ডিউটি ছিল আশিসের। সিনিয়রের কাছে অনুরোধ করে রোস্টার বদল করেছিলেন। কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ডের ডিউটি নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু অভিশপ্ত হয়ে উঠল সেই কাঞ্চনজঙ্ঘাই! মালগাড়ির ধাক্কা মারে পিছন থেকে। বগির মধ্যে ছিনভিন্ন হয়ে যান আশিস। আটকে ছিল আশিসের রক্তাক্ত দেহ। মৃত অবস্থাতেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। আশিস পরিবারের সঙ্গে শেষ রববারটা কাটালেন, আর শেষ ‘ফাদার্স ডে’ও। আরও একটু বেশি সময় কাটাতে গিয়ে পুরো সময়টাই হারিয়ে গেল আশিসের।