Train Accident: রেল দুর্ঘটনা রোখার চাবিকাঠি রয়েছে কলকাতার কঙ্কনের হাতে! দেখুন

Train Accident: নিজের বাড়িতেই একটি প্রজেক্ট তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। একটি মালগাড়ি ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস! প্রজেক্টে তিনি দেখিয়েছেন, একটি ট্রেন যদি পিছন থেকে ধাক্কা মারে, তাহলে রক্ষা করবে বাফার স্প্রিং। অর্থাৎ প্রতি ট্রেনের সামনে ও পিছনে থাকবে অত্যাধুনিক বাফার।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2024 | 5:19 PM

কলকাতা:  কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বিপর্যয়ের পর ট্রেনের সংঘর্ষ এড়াতে ‘অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস’, ‘রক্ষাকবচ’ ইত্যাদি আরও অনেক প্রযুক্তির কথা চর্চায় রয়েছে। কিন্তু যা চর্চায় নেই, তা হল অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী কলকাতার বাসিন্দা কঙ্কন কুমার গুঁড়ির চিন্তাভাবনা। তাঁর দাবি,  সুরক্ষা কবচের চেয়েও কম খরচে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বড় দুর্ঘটনা এড়াতে পারে। সুরক্ষিত থাকতে পারেন যাত্রীরা। এই ভাবনা নিয়েই একটি মডেল তৈরি করেছেন কঙ্কন কুমার গুঁড়ি। সংঘর্ষ এড়াতে ভরসা হতে পারে অত্যাধুনিক বাফার আর সেফটি কোচ।

নিজের বাড়িতেই একটি প্রজেক্ট তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। একটি মালগাড়ি ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস! প্রজেক্টে তিনি দেখিয়েছেন, একটি ট্রেন যদি পিছন থেকে ধাক্কা মারে, তাহলে রক্ষা করবে বাফার স্প্রিং। অর্থাৎ প্রতি ট্রেনের সামনে ও পিছনে থাকবে অত্যাধুনিক বাফার। আর তার ফলে সংঘর্ষ হলেই সেই বাফারের প্রত্যাঘাতে ঘাতক ট্রেনের কামরা নিজে থেকেই বেশ কিছুটা পিছিয়ে যাবে। ইঞ্জিনের পরেই থাকবে সুরক্ষিত কোচ। তাতে ধাক্কা লাগার পরে ওই সুরক্ষিত কোচের ভিতরেই ঢুকে যাবে কামরা। তাতে অনেকটা গতিও নিয়ন্ত্রিত হবে।

আবিষ্কারকর্তা কঙ্কন কুমার বলেন, “এই প্রজেক্টটা আগেই বানিয়েছিলাম। ইঞ্জিনের সামনে যে বাফারটা রয়েছে, সেটা অত্যন্ত শক্তিসম্পন্ন বাফার। এটা ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের ওপরে থাকলে কাজ করলে। এটা ইঞ্জিনকে সেভ করছে। ইঞ্জিনের পিছনে থাকবে পার্সেল বগি আর তার পিছনেই থাকবে একটা সুরক্ষিত কোচ। ধাক্কা লাগলেই পার্সেল বগির ৭০-৮০ শতাংশ অংশই সুরক্ষিত কোচের মধ্যে ঢুকে যাবে। তাতে পিছনের বগিগুলোর গতি ২০ কিমির মধ্যে চলে আসবে।”

কঙ্কন কুমারের দাবি, এই পদ্ধতিতে ট্রেনের গতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাহলে ধাক্কা লাগলেও, বড় দুর্ঘটনা, প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকবে বলে আশাবাদী কঙ্কন।