Recruitment Scam : চাকরি ছেড়ে ‘চাকরি চুরির’ কাজে নেমেছিল তৃণমূল নেতা, কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠল রাতারাতি?

Recruitment Scam :ছেড়েছিলেন দিল্লির পেট্রোলিয়াম কোম্পানির মোটা মাইনের চাকরি, চাকরি চুরির মিডলম্যান হিসাবে কাজ করেই ফুলেফেঁপে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের কৌশিক। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে।

Recruitment Scam : চাকরি ছেড়ে ‘চাকরি চুরির’ কাজে নেমেছিল তৃণমূল নেতা, কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠল রাতারাতি?
কৌশিক ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 7:46 PM

কলকাতা : কুন্তল-শাহিদদের মতো এজেন্ট ছড়িয়ে ছিল জেলায় জেলায়। উপার্জন এতটাই ছিল যে ভাল চাকরি বিক্রির মিডলম্যান হয়ে যায় অনেকে। তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কৌশক ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৬ এজেন্টকে শুক্রবার গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। তাঁদের মধ্যে অন্যতম কৌশিক ঘোষ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। এলাকায় তৃণমূল নেতা (Trinamool Leader) হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। এই কৌশিকই আবার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। শুধু বিধায়ক (MLA) নয়। তৃণমূল নেতা জাকির হোসেনেরও কাছের লোক হিসাবে পরিচিতি রয়েছে কৌশিকের। 

বর্তমানে শাহিদের পাশাপাশি সিবিআই হেফাজতে দিন কাটছে তাঁর। সূত্রের খবর, দিল্লিতে একটি পেট্রোলিয়াম সংস্থায় মোটা বেতনের চাকরি করত কৌশিক। কিন্তু, সেটা ছেড়ে দিয়ে চাকরির মিডলম্যান হিসাবে কাজ শুরু করেন। গ্রুপ-সি থেকে গ্রুপ-ডি, বিভিন্ন চাকরি বিক্রির ক্ষেত্রে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করেছেন কৌশিক ঘোষ। এমনটাই দাবি, সিবিআইয়ের। ২০২১ সালে এলাকায় তৃণমূলের প্রচারের বেশিরভাগ ফেস্টুন, পোস্টারে প্রচারক হিসাবে লেখা থাকত কৌশিক ঘোষের নাম। প্রতিবেশীদের বক্তব্য এলাকায় যথেষ্ট মেজাজ নিয়ে চলত কৌশিক। কেউ অন্য কোনও দল করলে সে নাকি মাটিতে পুঁতে দেওয়ার হুমকিও দিত। 

এলাকার কেউ কেউ বলছেন কৌশিকের অধীনে কাজ করত আরও অনেকে। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে প্রচুর টাকা তুলেছিল কৌশিক। ঘরের অনেক লোককে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর একাধিক আত্মীয়ের চাকরি সে নিজে হাতে করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দাদের আরও দাবি, এক এক সময় চাকরির জন্য কৌশিকের বাড়ির সামনে লাইন পর্যন্ত পড়ে যেত। এমনকী ওর নিজের গ্রামেরও ৪ থেকে ৫ জনের চাকরি বেআইনি ভাবে হয়েছিল বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। এর পিছনেও কৌশিকেরই হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে তাঁর হাতে আসা টাকার ভাগ কোথায় কতদূর পৌঁছেছে সেই উত্তরই খুঁজছে সিবিআই।